তারাপুর উকিল বাজারে গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলো আজ
অনেক দিন ধরে মৃতপ্রায় উকিল বাজারকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে শিলচর পৌরসভা। শুধু বাজারটি ঠিক করা নয় একেবারে পাঁচ তলা মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে বেসমেন্ট এবং একতলা নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে বাজার এলাকায় থাকা দোকানগুলোকে একতলায় জায়গা দেওয়া হবে। বাকি চার তলা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পিপিপি মডেলে এই পুরো প্রকল্পটি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওম কনস্ট্রাকশন’কে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কবীন্দ্র পুরকায়স্থের হাত ধরে পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস হয়ে গেল।
অনুষ্ঠানে শিলচর পুরসভার চেয়ারম্যান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর সহ উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ, ওম কনস্ট্রাকশনের তরফে সুবীর রায়, স্থানীয় পুরসদস্য মধুমিতা শর্মা সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরপতি নীহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুর বলেন, “তারাপুর এলাকায় ঐতিহ্যবাহী উকিল বাজার বিভিন্ন কারণে মৃতপ্রায় হয়ে আছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পরেই এই বাজারকে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। তবে প্রাথমিক সমস্যা ছিল এলাকার দোকান গুলো খালি করানো। এছাড়া কারা এটি তৈরি করবে, এটা বাছাই করতেও কিছুটা সময় গেছে। তবে আমাদের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কাজে হাত দেওয়া গেছে, এটা অত্যন্ত সুখের”। তিনি আরো জানান, “বিল্ডিংটি তৈরি হলে প্রাথমিকভাবে তারাপুর এলাকার বাসিন্দাদেরকে এক অত্যাধুনিক বাজার উপহার দেওয়া হবে। তারপর পাঁচতলা বিল্ডিংয়ে বিভিন্ন উন্নতি মূলক কাজ সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি কবীন্দ্র পুরকায়স্থ বলেন, ‘শহরের অন্যতম জনবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তারাপুর। উকিল বাজার এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার। অতীতে অনেকবার এখান থেকে দাবি উঠলেও বাজারটি মেরামতের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নীহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুরে নেতৃত্বাধীন পুরবোর্ড আগামী ২ এপ্রিল তার মেয়াদ সম্পন্ন করবে। তারা চাইলে মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার এক মাস আগে এই কাজে হাত না দিলেও পারতেন। তবু এত সুন্দর একটি প্রকল্প পুরোপুরি সাজিয়ে এমনভাবে রেখে যাচ্ছেন যাতে বিল্ডিংটি যেকোনো পরিস্থিতিতে তৈরি হবেই। এটা ভবিষ্যতে শিলচর পুরসভার কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে থাকবে।”
স্থানীয় পৌর সদস্য মধুমিতা চৌধুরী জানান, ‘ওম কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে ১২ মাসের মধ্যে বেসমেন্ট এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। প্রথম তিন মাস এলাকার বাজার সরিয়ে জায়গা খালি করতে লাগবে। পরের নয় মাসে বিল্ডিং এর কাজ শেষ হবে।
কণাদ পুরকায়স্থ, সুবীর রায় সহ অন্যান্যরা সভায় বক্তব্য রাখেন। এছাড়া শিলচর পৌরসভার বিভিন্ন সদস্য, জেলা বিজেপির পদাধিকারী এবং স্থানীয় মানুষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
Comments are closed.