Also read in

করিমগঞ্জ পুলিশের এনকাউন্টারে মারা গেল নুরুল ইসলাম, এসপি জানালেন, 'বন্দুক ছিনিয়ে গুলি চালিয়েছিল নুরুল, পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়',

করিমগঞ্জ পুলিশের এনকাউন্টারে মারা গেল নুরুল ইসলাম। গতকালই করিমগঞ্জ পুলিশ ও বিএসএফ গ্রেফতার করেছিল ২৮ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম ও ২৩ বছরের নাগাল্যান্ডের তুয়েনসাং জেলার এইচ লিয়াং খিয়ামনকে। তাদের কাছ থেকে চারটি পিস্তল এবং একটি পেন গান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই দুজনেই শিলচর-গুয়াহাটি ট্রেনে ছিলেন। বদরপুরে এদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও বিএসএফ বাহিনী। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও জব্দ করা হয়েছিল। এরপর নুরুল ও লিয়াংকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়ে ছিল পুলিশ।

করিমগঞ্জ পুলিশ সুপার পদ্মনাভ বড়ুয়া জানান, গভীর রাতে পাথারকান্দির বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের অপরাধ স্বীকার করে। সে জানায় তার কাছে আরও অস্ত্র রয়েছে। যা অন্য একটি আস্তানায় রাখা রয়েছে। পদ্মনাভ বড়ুয়া বলেন, ‘নুরুল পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি দলকে বদরপুর থানার অধীনে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। তবে সেখানে যাবার পরই একজন কনস্টেবল কে ধাক্কা দিয়ে তার বন্দুক ছিনিয়ে নেন নুরুল। এর কিছুক্ষণ পরই সে গুলি চালাতে শুরু করে। এর জবাবে পুলিশ কেও গুলি চালাতে হয়।’

পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় নুরুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ‌ তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা। তার মৃতদেহ পোস্টমর্টেম এর জন্য পাঠানো হয়েছে। এই এনকাউন্টারে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন কিনা, এর জবাবে করিমগঞ্জ পুলিশ সুপার বলেন, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হননি।’

করিমগঞ্জ জেলায় দ্বিতীয়বারের মতো এমন ঘটনা ঘটলো। এর আগে গত ২৪ জুলাই পাথারকান্দি পুলিশ মাদক বিক্রেতা কাউসার আহমেদকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তবে এসপি বড়ুয়ার নেতৃত্বে থাকা পুলিশ টিমের কাছে তাকেও পরাস্ত হতে হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আহমেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর অবশ্য তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা করিমগঞ্জ পুলিশ এবং বিএসএফের গতকালকের অভিযানে যোগদানের জন্য প্রশংসা করেছেন। ‌ গতকালকের অভিযান সম্পর্কে করিমগঞ্জের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ডি শর্মা বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওসি অনুপ কলিতার নেতৃত্বে বদরপুর পুলিশ বিএসএফ বাহিনীর সঙ্গে শিলচর-গুয়াহাটি ট্রেনে যৌথ অভিযান চালায়। বদরপুর জংশনে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অপরাধীদের ব্যাগ তল্লাশি করে পাঁচটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে চারটি ৭.৬৫ মিমি পিস্তল এবং অন্যটি একটি পেন পিস্তল। এরপর উভয় অপরাধীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বদরপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। ‌ সেইসঙ্গে বন্দুক গুলি জব্দ করা হয়।’ ডিএসপি শর্মার মতে দুজনেই ডিমাপুর নাগাল্যান্ড থেকে মরিয়ানি এক্সপ্রেস ট্রেনে লামডিং এসেছিলেন। ‌ তারপর সেখান থেকে শিলচর গোহাটি ট্রেনে বদরপুরে আসেন। যেখানে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

Comments are closed.