জয়দীপ হত্যা: গ্রেফতার দুই, হত্যার কারণ অর্থ নয় ছয়!
বিপিন পাল রোডের বাসিন্দা জয়দীপ দেকে গতকাল রাত আটটা নাগাদ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার রক্তাক্ত দেহ করিমগঞ্জের ঘাটলাইন এলাকার ভোলা গেস্ট হাউসের সামনা থেকে উদ্ধার করা হয় ।
খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ জনগণ জয়দীপের মৃতদেহ নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশে পুলিশ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। করিমগঞ্জের পুলিশ অধীক্ষক মানবেন্দ্র দেব রায় অবরোধকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আশ্বাস দেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
এবং সেই অনুযায়ী করিমগঞ্জ পুলিশ এখন পর্যন্ত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, প্রথমেই জয়দীপ দের সহকর্মী সার্থক নাগের অনুসন্ধান করা হয়। তাকে না পেয়ে , বৃহস্পতিবার রাতেই তার সুভাষ নগরের বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। শুক্রবার সকালে নাগকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ অধীক্ষক নিজে সার্থক নাগকে জেরা করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। সূত্র অনুযায়ী, সার্থক নাগ কবুল করেন যে সরিষা অঞ্চলের সুভাষ নমঃশূদ্র নামক এক ব্যক্তি এই নৃশংস হত্যার খুনি। পুলিশ সাথে সাথেই সুভাষচন্দ্র কে গ্রেফতার করে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জয়দীপ দে নিজের বিয়ের জন্য কয়েকদিনের ছুটি নিয়েছিলেন সুগম ট্রান্সপোর্টে থেকে। ছুটি শেষে কাজে যোগ দিয়ে সুগম ট্রান্সপোর্টের তহবিলের অর্থের হিসেবে গড়মিল লক্ষ্য করেন। সার্থক নাগ এই গরমিলের ব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারেননি, এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ তর্কাতর্কি হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই অর্থ নয় ছয়ের ঘটনাই মূল কারণ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, সুগম ট্রান্সপোর্টে বিভিন্ন ধরনের দুই নম্বরি ব্যবসাও চলে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সুগম ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এত সব জল্পনা-কল্পনার পরেও একজন প্রবীণ পুলিশ অফিসার আমাদেরকে জানালেন, এই মুহূর্তে সর্বসমক্ষে কিছু খোলাসা করার সময় আসেনি, তদন্ত চলছে।
এদিকে জয়দীপ দের পরিবার তথা এলাকাবাসীরা গভীর শোকাচ্ছন্ন।
Comments are closed.