১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট সহ করিমগঞ্জে আটক দুই পাচারকারি
ড্রাগসের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অভিযান অব্যাহত রেখেছে করিমগঞ্জ পুলিশ। বৃহস্পতিবার এক গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভাঙ্গা সংলগ্ন সরপুর গ্রাম থেকে দুই ড্রাগস পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ৯ হাজার ৮০০টি ইয়াবা টেবলেট সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত দুই ড্রাগস পাচারকারী হল সাজিপাড়ার ২৭ বছরের মঞ্জিত দাস ও কাজিরগ্রামের ২১ বছরের যুবক মেহবুবুর রহমান। আপাতত তাদের আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
করিমগঞ্জ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালানো হয় এদিন এবং সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালানো হয়। অবশেষে সন্দেহজনক ভাবে ভাঙ্গার দিক থেকে পালসার নিয়ে আসা দুই বাইক আরোহীর পিছু ধাওয়া করে পুলিশ। দুই বাইক আরোহী পুলিশের পিছু ধাওয়া দেখে সরপুর গ্রামের এক বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং একটি ঘরে লুকিয়ে যায়। এই ঘর থেকে ড্রাগস সহ দুজনকে আটক করে পুলিশ। ধৃতরা নিষিদ্ধ ড্রাগস কোথায় পেয়েছে ও কার কাছে সরবরাহ করতে চাইছিল এসব তথ্য সংগ্রহ করতে পুলিশ জোর জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছে।
দুদিন আগে ৭০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কিছু লোককে আটক করেছিল পুলিশ। তারাও স্থানীয় লোক ছিল তবে পুলিশের সন্দেহ এদের পিছনে কোন বড় চক্রের হাত রয়েছে। মায়াঙ্ক কুমার ঝা পুলিশ সুপার হিসেবে জেলায় যোগ দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি ড্রাগস বিরোধী অভিযান চালিয়েছেন। কোটি কোটি টাকার ড্রাগস উদ্ধার হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত থাকা অনেকেই। তিনি বলেন, “শুধু করিমগঞ্জ জেলা নয়, সারা রাজ্যের পুলিশ ড্রাগসের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং একের পর এক সাফল্য আসছে। আমাদের বাহিনীরা বিভিন্নভাবে ড্রাগস পাচারকারীদের উপর নজরদারি রাখছেন এবং তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে ঠিক সময়ে অভিযান চালানো হচ্ছে, এতে আসছে সাফল্য। গতবছর অনেক বেশি পরিমাণে ড্রাগস ধরা হয়েছিল। আমাদের ধারণা, এর সঙ্গে একটি বড়সড় চক্র যুক্ত রয়েছে, তবে সেটা তদন্তের বিষয়। ড্রাগস শুধুমাত্র করিমগঞ্জ হয়ে অন্য রাজ্যে বা আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে পাচারের চেষ্টা চলছে, এমনটা নয় বরং আমাদের জেলায়ও অনেকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেটাও আমাদের আটকাতে হবে, কারণ এতে যুবসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবশ্যই এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা এবং সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী।”
Comments are closed.