করিমগঞ্জে বাচ্চাদের মৃত্যুর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক নেই, জানালো জেলা প্রশাসন
সীমান্তবর্তী জেলা করিমগঞ্জে সাতটি শিশুর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে; আতঙ্ক করোনি ভাইরাস নিয়ে। কারণ সাতটি শিশুর রোগের লক্ষণ একই রকম ছিল। গলায় ব্যথা, জ্বর এবং মুখে রক্ত ওঠার লক্ষণ নিয়ে এই বাচ্চাদের প্রথমে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।মিডিয়ার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল অভিভাবকদের জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের আক্রমণে এই বাচ্চাদের মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে।
সঙ্গে সঙ্গে করিমগঞ্জে করোনা ভাইরাসের আক্রমণের ঘটনার গুজব জনগণের মধ্যে প্রচণ্ড আতঙ্কের সৃষ্টি করে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোতে বারবার এগুলো প্রচার করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এই খবরের কোন সত্যতা নেই।
যদিও বলা হয়েছিল যে সাতটি বাচ্চা রাতারাতি একই ধরনের রোগের লক্ষণের কারণে মারা গেছে, কিন্তু আসলে ঘটনাটি ছিল অন্যরকম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুথ লিয়েনথাং জানান যে গত জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে এবং তা কোনোভাবেই কোনও রাতারাতি ঘটনা নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ” জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা করিমগঞ্জের এই গ্রামটি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান যে সেখানকার বেশিরভাগ বাচ্চারা কাশিতে ভুগছে। সম্ভবত ডিফথেরিয়ার কারণে তারা প্রাণ হারিয়েছে। তবে নিশ্চিত করে এখনো বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর সঠিক করে বলা সম্ভব হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই এলাকার জনগণ ‘টিকাকরণ’ মাঝেমধ্যেই ছেড়ে দেন এবং তারা জলাবদ্ধ পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করেন। তারা হচ্ছেন জেলে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং তারা পাহাড়ি এলাকা থেকে খুব বেশি বাইরে বের হননা। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুথ লিয়েনথাং আরো বলেন, ” করিমগঞ্জে মৃত এই বাচ্চারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। করিমগঞ্জে করোনা’য় আক্রান্ত হওযার কোনও ঘটনা নেই।”
Comments are closed.