প্রত্যন্ত এলাকায় যারা ত্রাণ পাচ্ছেন না, তাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কৃষ্টি বিবেক
‘শ্রীকোনার বাংলা ঘাটে বেশ কিছু পরিবার দুরবস্থায় রয়েছেন তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে; রোববার সংস্থার তরফ থেকে তাদের কাছে আরো কিছু খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব’, জানালেন কৃষ্টি বিবেক সাংস্কৃতিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী। যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকের কাছে ত্রাণ সামগ্রী ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না, তাদেরকে প্রাথমিকতা দিচ্ছে এই সংস্থা।
এই সংস্থা বিগত ১৪ এপ্রিল দরগাকোনা এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ২২ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ এবং বিধবাকে ১০০০ টাকা করে সর্বমোট বাইশ হাজার টাকা প্রদান করে। গতকাল উধারবন্দ এলাকার গুন্টিবাড়িতে ২৯৭ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সংস্থার সদস্যরা।
তাছাড়া, শিলচর শহরে গান্ধী মেলায় এসে আটকে পড়া সার্কাসের কলাকুশলী এবং অন্যান্য যারা রয়েছেন সেরকম ১৩০ জনকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে কৃষ্টি বিবেক। শহরে, প্রথম সারির যোদ্ধা, কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনীর লোকেদেরকে স্যানিটাইজার প্রদান করছে এই সংস্থা। খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছে এই শহরের চালচুলোহীন ভবঘুরেদের হাতে। এভাবে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে এই সংস্থা।
সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা শিবব্রত দত্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের আগে এই মহামারী সংক্রমণ রোধে করণীয় সম্বন্ধে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তোলার কাজ ও করছেন ।
সংস্থার সম্পাদক জানালেন, প্রথমে আমরা চাঁদা তোলার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই এমন ভাবে এগিয়ে আসছেন যে, আমাদের চাঁদা তোলার প্রয়োজন হচ্ছে না। সবাই নিজের সাধ্যমত আমাদেরকে মদত করে চলেছেন। সংস্থার সদস্য যারা বাইরে রয়েছেন, এমনকী বিদেশে রয়েছেন, তারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
শুভাশিস চৌধুরী, শিবব্রত দত্ত ছাড়াও সংস্থার আরো যে সকল সদস্য এই প্রয়াসে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন তারা হলেন, সভাপতি সজল চক্রবর্তী, কুসুমেষু পুরকায়স্থ, নবেন্দু দাস, মাধব রায়, দীপক ঘোষ, সৌরভ দত্ত, দীপজয় পাল, শুভদীপ দত্ত, ডাঃ প্রীতম দাস, গৌতম শীল, মৃগাঙ্ক ভৌমিক, কার্তিক শুক্লবৈদ্য, নির্মল শুক্লবৈদ্য, অর্ঘ্য দে, কিংকর পুরকায়স্থ প্রমূখ।
আগামী ৩রা মে পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কর্মসূচি চালিয়ে যাবার সংকল্প রয়েছে এই সংস্থার।
Comments are closed.