লায়লাপুর: কাছাড় পুলিশ অবৈধভাবে প্রবেশ করা ৫ জন মায়ানমারীকে আটক করল
মায়ানমারের ‘চিন প্রদেশে’ বসবাসরত মায়ানমারিজদের টিয়াউ নদী হয়ে মিজোরামে অবাধ প্রবেশ করে থাকে। সীমান্তটি মায়ানমারের শরণার্থীদের জন্য ‘উন্মুক্ত’ রাখা হয়েছে কারন ঐ দেশটির সামরিক বাহিনী এদের খুব উত্যক্ত করছে। মিজোরা তাদেরকে রাল্টলান (ভাই) বলে মনে করে এবং তারা বলে যে তারা একই উপজাতির এবং তাই এই দেশে তাদের প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, একই মিজোরা রোহিঙ্গাদের এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফিরে যেতে বাধ্য করে।
শুক্রবার কাছাড় পুলিশ সঠিক কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশকারী পাঁচ মায়ানমারী অভিবাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। কাছাড় পুলিশ জানিয়েছে, লায়লাপুর টহল পোস্টে মোতায়েন থাকা কর্মকর্তারা তাদের পাঁচজনকেই আটক করেছে। মিজোরামের চম্পাইয়ের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী একজন মহিলা, যিনি ডিমদেহলুনি নামে পরিচিত, তাদের পথ দেখিয়েছিলেন। মায়ানমারের যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- থাং খাওম, খেন খান খাম, পাউ হাওমলিয়াম মুং, সিন আইহ মাং, পাউ বাইক মুয়াং। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই মায়ানমারের চিন জেলার তিদিন গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের সকলেই নয়াদিল্লি যাচ্ছিলেন।
যাইহোক, তাদের আরো বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা মানব পাচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজোরাম সরকারকে মিজোরামের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করা এবং মাইগ্রেশন বন্ধ করতে বলেছিল। মিজোরামের থিংসাই গ্রামের গ্রাম পরিষদের সভাপতি যে দালাল মায়ানমার এই ধরনের কোনো নির্দেশ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, “আমরা আমাদের ভাইদের পাশে থাকব। তাদের উপরে ফাইটার জেট প্লেনে বোমা হামলা করা হচ্ছে, তাই এটা স্পষ্ট যে তারা মিজোরামে আশ্রয় নেবে।” সরকার রোহিঙ্গাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে, একই দেশ থেকে অভিবাসিত ‘চিন’ শরণার্থীদের জন্য দরজা খোলা রেখেছে।
Comments are closed.