ভোটের মুখে হাইলাকান্দি কংগ্রেসে ধস, দল ছাড়লেন ৪ পুরসদস্য
লোকসভা নির্বাচনের মুখে হাইলাকান্দি কংগ্রেস দলে ধস নামিয়ে দলত্যাগ করলেন চার কংগ্রেসি পুরসদস্য । কংগ্রেস দলত্যাগী পুরসদস্যরা হলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার চন্দন সেনগুপ্ত, ৮ নং ওয়ার্ডের কমিশনার তপন চৌধুরী , ১৪ নং ওয়ার্ডের কমিশনার ববি মালাকার এবং ১৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার চিন্ময় দাস।
সোমবার হাইলাকান্দি পুরসভা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে পদত্যাগী চার কংগ্রেসি পুরসদস্য জানান, কংগ্রেসের বর্তমান জেলা নেতৃত্বের প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই। তাই তারা দলত্যাগ করলেন।
গত পুরনির্বাচনে চিন্ময় দাস নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে জিতে পুরসদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কংগ্রেস দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন তিনিও কংগ্রেস ছাড়েন।
এদিন পদত্যাগী সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান হাইলাকান্দি জেলাকংগ্রেসের নেতৃত্বের উপর তাদের কোন আস্থা নেই ।এরা দল পরিচালনার যোগ্য নন। তাই তারা নিরুপায় হয়ে এধরনের বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
পুরসদস্য তপন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যারা হাইলাকান্দি জেলাকংগ্রেসের নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক আদর্শ নেই । এরা কখনও কংগ্রেস আবার কখনও এ আই ইউ ডি এফ হিসাবে কাজ করে থাকেন। বর্তমান জেলা কংগ্রেসের নেতাদের অনেককেই গত বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে । সেইসঙ্গে জেলাকংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব কংগ্রেস দলকে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের দল বানিয়ে ফেলেছেন বলে তাদের অভিযোগ । তাই এধরনের দলে থেকে তাদের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব। তাই তারা কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। পুরসদস্য চন্দন সেনগুপ্ত অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগেও গৌতম রায়, আব্দুল মুহিব মজুমদার এবং রাহুল রায়ের আমলে হাইলাকান্দি কংগ্রেস সত্যিকার অর্থে ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসাবে পরিচিত ছিল । কিন্তু বর্তমান নেতৃত্ব এই দলটিকে এ আই ইউ ডি ফ-র বি-টিম বানিয়ে ফেলেছেন । তাই তাদের মত ধর্মনিরপেক্ষদের এই দলে থাকা সম্ভব হবে না।
তারা তাদের পদত্যাগপত্র হাইলাকান্দি জেলাকংগ্রেসের সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান।
Comments are closed.