গোটা বরাক উপত্যকা জুড়ে ভূমিধসের ঘটনা : মৃত কুড়ি জন, আহত অনেক
ভূমিধসে হাইলাকান্দিতে ৭, কাছাড়ে ৭ ও করিমগঞ্জে ৬ জনের মৃত্যুর খবর এখন পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে, আহত হয়েছেন অনেক।
সোমবার রাতের মুষলধারা বৃষ্টির পর মঙ্গলবার সাতসকালে ভূমিধসে বরাক উপত্যকায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাইলাকান্দি জেলায় একই পরিবারের ৫ সদস্য সহ মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে কাছাড় জেলায় ৭ জন, করিমগঞ্জে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ।
করোনা আতংকের মধ্যে ভূমিধসে কুড়ি জনের মৃত্যুর খবরে গোটা বরাক উপত্যকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । হাইলাকান্দি জেলার আলগাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভটরবাজার এবং মোহনপুর আর এ এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে । নিহতদের মধ্যে চার জন শিশুও রয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার শেষ রাতের মুষলধারা বৃষ্টির ফলে আচমকা টিলাভুমি ধসে পড়ে ঘরের উপর। আর এতেই মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাতজনের। মঙ্গলবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে মোহনপুর ফাঁড়ি পুলিশ সহ আলগাপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাটি চাপাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হল যথাক্রমে ভটরবাজার এলাকার কুটন মিয়া লস্কর (৪০), জুলফা বেগম (৩৫), নাজিরা বেগম (৪), হাজিরা বেগম (৬) ফুতুলি বেগম (৩) মতিউর রহমান লস্কর, (৬০) এবং মোহনপুর আর এ এলাকার চান্দ মনি মাল (৫)। এই দুই ভূমিধসের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। তারা হলেন কাউছার হুসেন (১৭) , মুস্তাকিম হুসেন (১) মমতা বেগম (১৮), বড়মনি লস্কর (১০) ও লালন লস্কর (২)।
মোহনপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ বিধান দাস জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাইলাকান্দির এস কে রায় সিভিল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে ।
অন্যদিকে কাছাড় জেলার জয়পুর এলাকার কলারপারেও এদিন সংঘটিত হয়েছে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা৷ এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জন লোকের। নিহতরা হলেন তাজিম উদ্দিন লস্কর (৪৫), আলিয়া বেগম (২০) আলম উদ্দিন (১৮) আরিফ উদ্দিন (১৭) আমনাা বেগম (১৪) সুমনা বেগম (১২) ও রহিম উদ্দিন (৮)। এরা সবাই একই পরিবারের বলে জানা গেছে।
অপরদিকে করিমগঞ্জ জেলার কালিগঞ্জ এলাকায়র করিমপুরেও ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে । নিহতরা হলেন আজির উদ্দিন (৫৭) তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪০) তাদের দুইপুত্ৰ আফতার হুসেন (১০) ও আনোয়ার উদ্দিন (৭) এবং কন্যা তাহেরা বেগম (৫)। অন্য একটি পরিবারের ১৪ বছরের জয়নাল বিবি নামক এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে করিমগঞ্জ থেকে।
Comments are closed.