গুরুচরণ কলেজের অতিথি শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্ত সোমবার পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে
গুরুচরণ কলেজের পদার্থবিদ্যার অতিথি অধ্যাপক সৌরজিত সেনগুপ্তকে আজ আদালতে তোলা হয়। সেনগুপ্তের আইনজীবীর বয়ান শুনে নিয়ে বিচারক তাকে সোমবার পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে প্রেরণ করেন।
“সোমবারে পুলিশ তাদের রিপোর্ট পেশ করার পর জামিনের আবেদন নিয়ে বিবেচনা করা হবে”, জানালেন সৌরদীপ সেনগুপ্তর আইনজীবী।
উল্লেখ্য, সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্টে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তাছাড়া সনাতন ধর্ম নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। গুরুচরণ কলেজের ছাত্রদের দ্বারা প্রাথমিক এজাহার দাখিলের পর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
শিলচরের গুরুচরণ কলেজের অতিথি অধ্যাপক সৌরদীপ সেনগুপ্ত ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। দিনকয়েক আগে দিল্লি হিংসার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। লেখেন, এক গণহত্যাকারীকে আমরা দু’বার নির্বাচন করেছি। অভিযোগ, এরপর কলেজে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ক্ষমাপ্রার্থনা করে ফেসবুকে ফের পোস্ট করেন ওই কলেজ শিক্ষক। এরপর বাড়িতে চড়াও হয়ে ফেসবুক লাইভে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ানোর দাবি করে পরিবারের সদস্যদের চাপ দেওয়া হয়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ওই কলেজ শিক্ষক। এরপর বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
Comments are closed.