
হরিনগরে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র সহ দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি জনরোষে অর্ধমৃত, পুলিশি তৎপরতা
আজ সকাল প্রায় সাতটায় কাছাড় জেলার লক্ষীপুর মহকুমার হরিনগর বাজারে স্থানীয় লোকেরা যখন বরাক বন্ধ নিয়ে ব্যস্ত, তখনই কয়েকজন অপরিচিত উপজাতি লোকের সন্দেহজনক চলাফেরা দেখে পিকেটারদের সন্দেহ হয়। ওদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে কোন সদুত্তর না পেয়ে তাদের তল্লাশি করতে উদ্যত হলে দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উপস্থিত জনতা বাকি দুজনকে তল্লাশি করে ওদের কাঁধের ব্যাগ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র বের করে। ঘটনা চাউর হতেই জনতার ভিড় বাড়তে থাকে এবং শুরু হয় গণধোলাই।
ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় ১১টা নাগাদ বরাক বন্ধের ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ ও এসএসবি বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং জনতার রোষ থেকে দুজনকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে এসপি রাকেশ রৌশন এবং এসডিপিও অকুস্থলে পৌঁছে এদের দুজনকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য জয়পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রেরণ করেন।
এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রশস্ত্র গুলো হলো,
১) ১২ বোরে’র সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল – ১টা
২) এ কে ৫৬ রাইফেল- তিনটা
৩) চাইনিজ এল এম জি রাইফেল – একটা
৪) ৫.৫৬ রাইফেল – দুইটা
৫) .২২ পিস্তল -একটা
৬) ৫.৫৬ কার্তুজ -৩০৮
৭) ৭.৬২ কার্তুজ- ৩৬২
৮) চাইনিজ হ্যান্ড গ্রেনেড – একটা
এবং আরো কিছু অস্ত্রশস্ত্র।
এই ঘটনায় সমস্ত এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকেদের মতে, সম্ভবত এরা জঙ্গি দলের সদস্য নয়, শুধু অস্ত্রগুলো পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। এলাকা সম্বন্ধে এদের কোনো ধারণাই নেই, রাস্তাঘাটের হদিস ও ঠিকমতো জানা নেই। বরাক বন্ধ সম্বন্ধে অবগত না থাকায় রাস্তায় এসে কোন যানবাহন পায়নি ওরা এবং এই কারণেই ফেঁসে যায়।
পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে এবং উচ্চ পর্যায়ের পুলিশী তদন্ত শুরু হয়েছে।
Comments are closed.