বন্যার জলে প্লাবিত হাইলাকান্দি জেলার বহু এলাকা
মোহনপুর বাঁধ লঙ্ঘন করে জল ঢুকে পড়ায় শনিবার মোহনপুর ও হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার জলে ডুবে গেছে বলে জানা যায়।
মোট চব্বিশটি গ্রামের মধ্যে হাইলাকান্দির ১০ টি গ্রাম, লালার ১১ টি গ্রাম ও কাটলীছড়া রাজস্ব চক্রের অধীনে তিনটি গ্রাম বন্যায় প্রভাবিত হয়েছে। ৯৮ হেক্টর ফসল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ১,০৩৭ টি চাষী পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জানা যায়, সামারিকোনা বাজার তিনিয়ালি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নোয়াগ্রাম পিডব্লিউডি রোড জলের নিচে ডুবে গেছে।
নিমাইচাঁদপুর, নিত্যানন্দপুর, তেসলা, গাগলাছড়া, সুদর্শনপুর দ্বিতীয় খন্ড, লালামুখ, হরিণছড়া, কালাছড়া গ্রান্ট, লালাছড়া ইত্যাদি বন্যা অধ্যুষিত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য মেডিকেল দলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যার ফলে ৫৩০০ প্রাণী ও ৩৮০০ হাঁস মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ডিস্ট্রিক্ট এনিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যান্ড ভেটেরিনারি অফিসার আর এ লস্কর জানান।
বরাক উপত্যকার তিনটি প্রধান নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাটাখাল, ধলেশ্বরী ও বরাক নদীর জলস্তর যথাক্রমে ২৪.৮৯ মিটার, ৩১.১০ মিটার এবং ২০.২৫ মিটার বলে জানা যায়।
রাজেশ্বরপুর সপ্তম খন্ডের অধীনে বামন লেকাইয়ে গাগলাছড়া-নতুন বাজার বাঁধ ভাঙ্গনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায়। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ এর সত্যতা যাচাই করতে জল সংস্থান কর্তৃপক্ষ এবং লালা পুলিশ থানার ইনচার্জ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা উপায়ুক্ত আরকে দাম সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রত্যেক সার্কোল অনুযায়ী বন্যার দৈনন্দিন ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক খবর প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসন ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোলরুম সক্রিয় রাখছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত বছর জুনে হাইলাকান্দি জেলায় ও তিন লক্ষ ২৪ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
Comments are closed.