সিপাহী বিদ্রোহের ১৬১তম বার্ষিকীতে ভাবগম্ভীর পরিবেশে মালেগড়ে শহীদ স্মরণ
মালেগড় যুদ্ধের ১৬১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৬১টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করিমগঞ্জ জেলার লাতুর মালেগড়ে শহীদ স্মৃতি তর্পণ অনুষ্ঠান হল গত কাল। করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন, বিএসএফ, পুলিশ এবং ‘পাটকাই ট্রেকার্স’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্ম বলিদান করা বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রাক্তন বিধায়ক তথা সাহিত্যিক নিশিথ রঞ্জন দাস বলেন, “১৭৫৭ সালে সিরাজউদ্দৌলা যেদিন পরাজয় বরণ করলেন, সেদিন ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এর ১০০ বছর পর ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ হয়। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন করে একদল সিপাহী কুমিল্লা হয়ে লাতু মালেগড়ে উপস্থিত হন, তাদের পিছু ধাওয়া করে ইংরেজ সেনা। এই ভয়াবহ যুদ্ধের স্মৃতিতে মালেগড় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অতি উজ্জ্বল”। অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক প্রদীপ কুমার তালুকদার, এসপি গৌরব উপাধ্যায়, বিএসএফের সপ্তম ব্যাটালিয়ানের সহকারী কমান্ডেন্ট পবন কুমার প্রমুখ; বীর শহীদদের অভিবাদন জানান বিএসএফ জওয়ানরা।
এখানে উল্লেখ্য, ১৮৫৭ সালের ১৮ই ডিসেম্বর করিমগঞ্জ জেলার মালেগড় টিলায় সংঘটিত হয়েছিল বিদ্রোহী সেনাদের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভয়াবহ সংঘর্ষ। মেজর রবার্ট বিউর নেতৃত্বে ইংরেজ অনুগত সিলেট লাইট ইনফ্যান্ট্রি বাহিনীর ১৪৫ জন ব্রিটিশ সেনা ঘেরাও করে হাবিলদার রজব আলি খানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে আসা ৩৪,নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির ৩০০ ভারতীয় সেনাকে। যুদ্ধ স্থল মালেগড়ে নিহত হন মেজর বিউ, দেহরক্ষী মাহবুল্লা খান, সুবেদার অযোধ্যা সিং। বন্দুকের সামনে তরোয়াল হাতে নিয়ে অসম যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন ২৬ ভারতীয় সেনা।
এই গৌরবময় কাহিনীর বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
Comments are closed.