দুবাই প্রবাসী শিলচর মালুগ্রামের যোগীরাজ সিকিদার হলেন এন আর আই অব দ্যা ইয়ার
শিলচরের সুসন্তান যোগীরাজ সিকিদার ‘এনআরআই অব দ্যা ইয়ার’ পুরস্কার লাভ করলেন । গত বুধবার মুম্বাইয়ের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে তারকা সমন্বিত অনুষ্ঠানে যোগীরাজের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাজ্য মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। মধ্যপ্রাচ্যে ভারতের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি প্রসারে অবদানের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয় । যোগীরাজ দুবাইতে ‘মালহার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রসারে কাজ করে চলেছেন। “মালহার ইউএইতে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের রূপ নিয়েছে এবং এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি। ‘মালহার’ পরিবারের সব সদস্য সদস্যা, যারা বিগত এক দশক ধরে এই প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরই কর্মকান্ডের স্বীকৃতি এই ‘এন আর আই অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার’ “, জানান সিকিদার ।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে, তিনি শিলচরের মালুগ্রামের প্রয়াত যশোদা রঞ্জন সিকিদার এবং সবিতা সিকিদারের পুত্র। খুব ছোটবেলা থেকেই তিনি সঙ্গীত সাধনা শুরু করেন, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের শাস্ত্রীয় সংগীত। তিনি ছিলেন কিরানা ঘরানার শিল্পী। কাছাড় হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র যোগীরাজ দিল্লির কিরারি মল কলেজ থেকে স্নাতক এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, আহমেদাবাদ থেকে স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভ করেন । সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন পন্ডিত মনি প্রসাদ, শ্রীমতি কঙ্কনা ব্যানার্জি, শ্রীমতি শিখা গাঙ্গুলী, অধ্যাপিকা রিতা গাঙ্গুলী প্রমূখ। প্রায় ২৫ বছর ধরে যোগিরাজ হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল মিউজিকে সমর্পিত প্রাণ হয়ে আছেন। দুবাইতে তিনি ‘মালহার সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্ট’ নামে একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক।
‘এনআরআই’ অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কারটি যৌথভাবে প্রদান করে টাইমস নাও, আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। বিভিন্ন পেশা থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এই পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠিত হয়। প্রায় ১১ হাজার পাঁচশো মনোনয়ন থেকে ২২ জনকে এ বছর এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। যোগীরাজের এই কৃতিত্বে বরাকবাসী গর্বিত।
Comments are closed.