
কার্ফু অমান্য করে দোকান খোলার অভিযোগে আটক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু, উত্তাল শহরের রংপুর এলাকা
কার্ফু অমান্যকারীর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে শহরতলির রংপুর এলাকায় চরম উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রংপুর করাতিগ্রাম এলাকার শতাধিক মানুষ পুলিশ পেট্রোল পোস্ট ঘেরাও করে ঐ দোকানীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।
রংপুর করাতিগ্রামের বাসিন্দা বাবুল বণিকের মোদির দোকান রয়েছে বাড়ির কাছেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় কার্ফুর মধ্যে দোকান খোলা রাখার অভিযোগে পুলিশ তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়, তারপর তার মৃত্যু ঘটে।
এদিকে মৃত বাবুল বণিকের পত্নী জবা বণিক অভিযোগ করেছেন যে, তার স্বামী দোকানে ঘরের প্রয়োজনে চিনি আনার জন্য গিয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাকে আটক করে মারপিট করে এবং ধরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাবুল বনিকের খোঁজে পরিবারের সদস্যরা পুলিশ পেট্রোল পোস্টে গেলে তাদেরকে জানানো হয় যে, বাবুল বনিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঐ দোকানি বাবুল বনিককে কোভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধ অমান্য করে দোকান খোলা রাখার অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তার শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখে তাকে শিলচর সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুর সংবাদ করাতিগ্রামে এসে পৌছালে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় জনতা। শতাধিক ক্ষুব্ধ জনতা কার্ফু অমান্য করে রংপুর পুলিশ পেট্রোল পোস্টে বিক্ষোভ দেখান। তারা অভিযোগ করেন পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে বাবুল বনিকের। পরিস্থিতি শান্ত করতে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার ভৈরব চন্দ্রকান্ত নিম্বালকার, তিনি এসে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় দু’ঘণ্টা অচলাবস্থার পর উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আশ্বাস এবং ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে জেলাশাসকের সাথে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে জনতা কিছুটা শান্ত হোন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
Comments are closed.