সোনাই সার্কেল অফিসের কেরানির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ; 'ফাঁসানো হয়েছে', বলছেন সেই কর্মচারী
সোনাই সার্কেল অফিসে আজ হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একজন ব্যক্তি জানান যে, তিনি ঘুষ নেওয়ার সময় একজন কেরানিকে ধরে ফেলেছেন। সোনাই এলাকার বাসিন্দা জুবায়ের আহমেদ লস্কর জানান, তিনি আজ সকালে সার্কেল অফিসে গিয়েছিলেন তার জমির মালিকানার সার্টিফিকেট নিতে। সেখানে তিনি আবদুল কুদ্দুস মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন।
জুবায়েরের অভিযোগ, সোনাই সার্কেল অফিসের কেরানি আব্দুল কুদ্দুস মজুমদার কাজটি করে দিতে এক হাজার টাকা দাবি করেন। “আমি বুঝতে পেরেছি সন্দেহজনক কিছু আছে এবং তাই নোটগুলির নম্বর লিখে রেখেছিলাম। তিনি বারবার জোর দিয়েছিলেন যে আমাকে ১০০০ টাকা দিতে হবে। আমি দরদাম করেছিলাম এবং তিনি শেষমেষ ২০০ টাকায় রাজি হয়েছিলেন। আমি তাকে ১০০ টাকার দুটি নোট দিয়েছিলাম,” জুবায়ের বলেন।
তার অভিযোগ অনুসারে, ২০০ টাকা পরিশোধ করার পরপরই তিনি তার মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ঘটনাবলীর ভিডিও করার জন্য জন্য রুম থেকে বেরিয়ে যান। “আমি ফিরে এসে তাকে আমার টাকা ফেরত দিতে বললাম। তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন এবং আশেপাশের লোকজন ও জড়ো হয়। তাই, আমি তাকে তার পকেটে থাকা নোটগুলো দেখাতে বললাম। দু’শো টাকার নোটের ক্রমিক নম্বর আমার নোটের সাথে মিলে গেল এবং তারপর তিনি মেনে নিলেন যে তিনি আমার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন,” যোগ করেন জুবায়ের।
তিনি ভিডিও প্রমাণ সহ সোনাই থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। অন্যদিকে আবদুল কুদ্দুস মজুমদার অভিযোগ করেন, তিনি ফাঁদে পড়েছেন। তিনি বলেন, তিনি কোন ঘুষ চাননি কিন্তু জুবায়ের অনুগ্রহ হিসেবে ২০০ টাকা দিতে অটল ছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, তিনি উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করবেন।
Comments are closed.