অম্বিকাপট্টি অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বাড়ি এবং ৭টি দোকান সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত, অগ্নিকাণ্ডের কারন রহস্যাবৃত
স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, স্টেট ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস এবং অন্যান্য সংস্থা অম্বিকাপট্টিতে আগুন নেভানোর পর কতগুলি বাড়ি এবং দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার হিসেব নিকেষ চলছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (ডিডিএমএ) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ময়না মিয়ার স্ত্রী সাহেদা খাতুন, মরহুম লতিফ শেখের স্ত্রী রেণু খাতুন, মুন্না শেখের স্ত্রী বিনা বেগম, জয় উদ্দিন শেখের ছেলে রাজু শেখ – এই ব্যক্তিদের বাড়ি আগুনে পুড়েছে।
কুমুদ চন্দ্র দেবের ছেলে গোপাল দেব তার বাড়িটিকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছিলেন এবং সেটিও পুড়ে যায়। প্রয়াত কানু দেবের স্ত্রী শঙ্করী দেবের বাড়ি আগুনে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাশাপাশি, কমল পালের সাইকেলের দোকান, বিষ্ণুপদ দেবের সাইকেলের দোকান, অংশুমান গুপ্তের ব্যাটারি চার্জিংয়ের দোকান, সন্তোষ পালের ফেব্রিকেশন শপ, দেবব্রত দত্তের সাইকেলের দোকান এবং সৌমিত্র নন্দী পুরকায়স্থের হার্ডওয়্যারের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তারপর প্রশ্ন আসে – আগুনের উৎস কি। কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে, প্রথমে ব্যাটারি রিচার্জিংয়ের দোকানে আগুন লাগে এবং তারপর আশেপাশের অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। দোকানের ঠিক পেছনেই ছিল বাসগৃহ। ঘর গুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার
সাথে সাথে বাড়ির এলপিজি সিলিন্ডারগুলি বিস্ফোরিত হতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এই তথ্য পাওয়া গেছে এবং কর্মকর্তারা এখনও বিষয়টি তদন্ত করছেন।
দমকলকর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চার ঘণ্টার ও বেশি সময় লাগল কেন! এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে,অম্বিকাপট্টি থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে অবস্থিত পানপট্টিতে একটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে – আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছিল। সে সময় বেশ কিছু ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দীর্ঘ সময় নিয়েছিল কারণ দমকলকর্মীরা বহুতল ভবনের পথ খুঁজে পাননি। ভবনটিতে প্রবেশের জন্য প্রশাসনকে একটি দোকান ভাঙতে হয়েছিল। অম্বিকাপট্টির এই অগ্নিকাণ্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় যে, পানপট্টি দুর্যোগ থেকে কেউ কিছুই শিখেনি। অম্বিকাপট্টিতেও দমকল কর্মীদের একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং সেজন্যই আগুন নেভাতে তাদের এত সময় লেগেছিল।
একবার আগুন নিভে গেলে বিষয়টি সবাই ভুলে যায়। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং প্রতিক্রিয়াগুলি খুঁজে বের করার জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এমন শোনা যাচ্ছে যে, বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ারা দীর্ঘদিনের ঝগড়ায় লিপ্ত আছেন। বাড়িওয়ালারা চান সব খালি হোক কিন্তু ভাড়াটিয়ারা, যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তারা খালি করতে অস্বীকার করছিলেন। আগুন কি ঝগড়ার ফল! আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের বাসিন্দাদের কী হবে!
Comments are closed.