৮ ও ৯ জানুয়ারি বিভিন্ন সংগঠনের ডাকা ভিন্ন ভিন্ন বনধে অচল হতে পারে অনেক পরিষেবা
আগামী ৮ এবং ৯ জানুয়ারি বিভিন্ন দল- সংগঠনের ডাকা ভিন্ন ভিন্ন কার্যসূচি অনুযায়ী বনধের ফলে বরাক উপত্যকায়ও কিছু পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী ভারত বনধের ডাক দিল বিভিন্ন শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন। রয়েছে আসামের ৩০টি সংগঠনের ডাকা ১১ ঘণ্টার অসম বনধ, ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মচারি সংগঠনের ডাকা ৪৮ ঘন্টা ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, তাছাড়া আছে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ৪৮ ঘন্টা চাকা বনধ।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের শ্রমিক-কর্মচারি বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সম্মিলিতভাবে ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘট শুরু হবে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত্রি থেকে এবং চলবে ৯ জানুয়ারি মধ্যরাত্রি পর্যন্ত।
এই ট্রেড ইউনিয়ন গুলোর সাথে ব্যাংকের কর্মচারিদের ট্রেড ইউনিয়নও জড়িত আছে। তাই, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারি ইউনিয়নগুলোও এই বনধে সামিল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী আর্থিক নীতি, ব্যাঙ্কিং শিল্প ব্যক্তিগতকরন- সংযুক্তিকরণ, বাইরে থেকে কাজের লোক (আউটসোর্সিং) নেওয়ার বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোকে শক্তিশালী করা, প্রয়োজনানুযায়ী কর্মী নিয়োগের দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীদের এই ধর্মঘট।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আসুর নেতৃত্বে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি সহ প্রায় ৭০টি সংগঠন আসাম বনধের ডাক দিয়েছে। ৪ জানুয়ারি সকাল পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে বনধ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এদিকে, আসাম মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন চাকা বনধ কার্যসূচির ডাক দিয়েছে সেই ৮ এবং ৯ জানুয়ারি। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা ভারত বনধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোটর শ্রমিকরা এই বনধে সামিল হচ্ছেন। ওদের অভিযোগ, সরকার মোটর ভেহিকল (আমেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭ অনুযায়ী সমস্ত দেশের যানবাহন সংস্থাগুলোকে ব্যক্তিগত মালিকানাধীনে নিয়ে আসতে চায়। সরকারের এই জনবিরোধী এবং মোটর শ্রমিক বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে ওদের আন্দোলন।
বরাক উপত্যকায় ভারত বনধ বা অসম বনধের খুব একটা প্রভাব না পড়লেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে; যানবাহন চলাচলেও প্রভাব পড়তে পারে।
Comments are closed.