
ম্যাসাজ পার্লারে গোপনে ভিডিও বানিয়ে সরকারি কর্মচারিকে ব্ল্যাকমেল, আটক এক যুবক
ম্যাসাজ পার্লারে গোপনে ভিডিও তুলে সেটা দিয়ে তেলেটক কার্যালয়ের এক কর্মীকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করলেন এক যুগল। মঙ্গলবার তাদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ এবং মহিলাকেও গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্র মতের খবর অনুযায়ী, কয়েকদিন ধরে সরকারি কর্মীটিকে ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা চলছিল। তবে তার বিচক্ষনতার ফলে দুই দুষ্কৃতীকে আটক করা গেছে।
সম্প্রতি রাঙিরখাড়ি এলাকায় এক ম্যাসাজ পার্লারে ম্যাসাজ করানোর জন্য গিয়েছিলেন মালুগ্রামের বাসিন্দা সরকারি কর্মচারিটি। সেখানে তাকে ম্যাসাজ করার সময় ভেতরের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিশেষভাবে ম্যাসাজ দেওয়া হবে বলে জানায় যুবতীটি। পরে তার সঙ্গে যুবতীটি যোগাযোগ করে এবং ভয় দেখায় তার কাছে নাকি একটি আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে। ভিডিওটির বিনিময় ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। অনেক কথা বার্তার পর ২ লক্ষ টাকা নিয়ে ভিডিওটি ডিলিট করতে রাজি হয় যুবতী এবং তার পুরুষ বন্ধুটি। তবে পাশাপাশি সে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পুরো ঘটনা খুলে বলে। পুলিশের সহায়তায় যুবতীর পুরুষ বন্ধুটিকে কৌশলে ডাকা হয়। টাকা নিতে এসে সে পুলিশের জালে ধরা পড়ে। তদন্তে জানা গেছে, ম্যাসাজ পার্লারের নাম করে তারা এভাবেই গোপনে ভিডিও করত এবং সেটা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করত। এবার যুবতীটিকেও গ্রেফতার করা হবে এবং ঘটনায় আরও অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটাও দেখা হবে।
শহরের আনাচে কানাচে এখন প্রায়ই গড়ে উঠছে ম্যাসাজ পার্লার। অনেকে অভিযোগ করেন, ম্যাসাজ পার্লারের নাম করে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। তবে এর বিরুদ্ধে কোন সরাসরি অভিযোগ না থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকেও এগুলো আটকানো সম্ভব হয়না। এবার এই ঘটনায় প্রমাণ হলো ম্যাসাজ পার্লারের নাম করে শহরে সত্যিই অসামাজিক কার্যকলাপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সদর থানার তরফে দিতুমনি গোস্বামী বলেন, “এই ঘটনায় যুবক এবং যুবতীটি মিলে গোপনে ভিডিও বানিয়ে এক সরকারি কর্মচারিকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। আমাদের ধারণা, আগেও তারা এরকম করেছে, আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি, এবার অনেক তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। শোনা গেছে, সামনে পার্লার থাকলেও তারা ভেতরে একটি বিশেষ রুম বানিয়ে রেখেছিল এবং সেখানেই গ্রাহকদের নিয়ে ভিডিও বানাতো।”
Comments are closed.