শিলচর সেন্ট্রাল জেলে ৪৮ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৫ কয়েদি ও দুই কর্মী, ভেতরে রয়েছে কোভিড কেয়ার সেন্টার
শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৭৫ জন কয়েদি এবং দুইজন জেল কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন কয়েদির শরীরে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় প্রত্যেকের সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথমদিন ৫০ জনের পরীক্ষা হয় এবং ৩৩ জন পজিটিভ হন। এরমধ্যে ৩২ জন কয়েদি এবং একজন জেলকর্মী। দ্বিতীয় দিন ৬২ জনের পরীক্ষা হয়, এতে ৪৪ জন পজিটিভ হন, এরমধ্যে ৪৩ জন কয়েদি।
এদিকে মঙ্গলবার এক আক্রান্তের স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। আগামীতে আরো কিছু কয়েদিকে সেখানে পাঠানোর প্রয়োজন দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কারাগারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, হঠাৎ করে একসঙ্গে বেশ কয়েকজন কয়েদির জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। তারা প্রত্যেকরা যেহেতু একে অন্যের সংস্পর্শে রয়েছেন ফলে বিষয়টি চিন্তাজনক হয়ে দাঁড়ায়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে খবর দেওয়া হয় এবং সোমবার থেকে সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষা প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। কয়েকজন আক্রান্ত কয়েদির নানান শারীরিক সমস্যা রয়েছে। আগামীতে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
কারাগারের বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম রয়েছে, এসকর্টের তত্ত্বাবধানে তাদের হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে। তারা সুস্থ হওয়ার পর আবার কারাগারে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া গত দুই সপ্তাহে যেসব কয়েদিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে এসেছিলেন তাদের তালিকা বের করে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান এব্যাপারে বলেন, “৪৮ ঘন্টায় ৭৭ জন ব্যক্তির পজিটিভ রেজাল্ট আশায় আমরা একটু চিন্তিত। এবার থেকে ধাপে ধাপে প্রত্যেক কয়েদি এবং কর্মচারির স্যাম্পল পরীক্ষা হবে। রেপিড এন্টিজেন টেস্ট এবং আরটিপিসিআর, দুই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা করানো হবে। কারাগারে আগে থেকেই কোভিড কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছিল। এবার সেখানে অতিরিক্ত ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীর যোগান দেওয়া হতে পারে। ক্রিটিক্যাল রোগী ছাড়া প্রত্যেকের চিকিৎসাই এখানে হবে। মঙ্গলবার এক আক্রান্তকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আগেও একজন অভিযুক্তকে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে। হাসপাতলে সুরক্ষা ব্যবস্থা তখনই উন্নত করা হয়েছিল। তাই সেখানে কয়েদিদের পাঠালে সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।তবে স্থানীয় পুলিশকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।”
Comments are closed.