Also read in

ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ কালাইনের গণিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে, গনধোলাই উত্তেজিত জনতার, গ্রেফতার

ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপকের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরে পরেই বরাক উপত্যকায় ও অপর এক গণিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল কু কান্ডের। প্রাইভেট টিউশনে নিজের বাড়িতেই দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার উত্তম-মধ্যমের পর শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত কৌশিক নাথ কালাইন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অংকের শিক্ষক। লক ডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ, এর মধ্যেই সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে নিজের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন করাতেন কৌশিক নাথ । সোমবার টিউশনে পড়ানোর সময় এক ছাত্রীকে অন্য একটা ঘরে ডেকে নিয়ে নিজের কামনা চরিতার্থ করেন নাথ।

বাগান এলাকার দশম শ্রেণীর ছাত্রী বছর সতেরোর কিশোরীটি বাড়িতে এসে মা-বাবাকে ঘটনা জানানোর পর আশেপাশের লোক উত্তেজিত হয়ে চড়াও হয় অঙ্কের শিক্ষকের বাড়িতে। উত্তেজিত জনতা বৃষ্টির মধ্যে ঘর থেকে ডেকে এনে নাথকে উত্তম-মধ্যম দেয়, তারপর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে; খবর যায় কালাইন পুলিশ ফাঁড়িতে। কালাইন পুলিশ ফাঁড়ির রক্ষীরা এসে শিক্ষককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে কাটিগড়া মডেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর পর কাটিগড়া থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বিজ্ঞানে স্নাতক এই শিক্ষককে।

চা জনজাতির এই কিশোরীটিকে শিলচরে একটি হোমে রাখা হয় সোমবার।

এদিকে রাতে কৌশিক নাথের স্ত্রী সবিতা নাথ কাটিগড়া থানায় অপর এক মামলা দায়ের করেছেন । সবিতা দেবীর এজাহারে অজিত কর্মকার, রথু তাঁতি, মনিন্দ্র কর্মকার, কার্তিক তাঁতি, কৃষ্ণ রায় এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে তার স্বামীকে মারধর এবং নগদ অর্থসহ সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

Comments are closed.