
স্বাস্থ্যের চরম অবনতির পরই হাসপাতালে আসছেন রোগীরা, মেডিকেলে মারা গেলেন সাতজন
স্বাস্থ্যের চরম অবনতির পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হচ্ছেন করোনা রোগীরা। ফলে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলার অবকাশ কমে যাচ্ছে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের।
শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ৭ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশিরভাগই হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন।
ঐ ২৪ ঘন্টায় যারা শিলচর মেডিকেল কলেজে প্রাণ হারিয়েছেন তারা হলেন,
গনিরগ্রাম, কাটিগড়া, কাছাড় এলাকার ৫০ বছর বয়স্ক মুজিবুর রহমান মজুমদার । তিনি ২৪ শে মে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ঐদিনই সন্ধ্যা ছয়টা ১০ মিনিটে প্রাণ হারান।
করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি এলাকার ৭০ বছর বয়স্ক সুরজিৎ দেব ২৪শে মে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ঐদিনই সন্ধ্যা ছয়টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।
করিমগঞ্জ জেলার লাতু এলাকার ৩৫ বছরের যুবক রাজর্ষি ভট্টাচার্য পঁচিশে মে সকালে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ঐদিনই সকাল দশটা কুড়ি মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শিলচর শহরের ইটখলা এলাকার ৭২ বছর বয়স্ক বিজয় রক্ষিত ২৫শে মে, মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ঐ
দিনই দুপুর বারোটা বেজে তিরিশ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
শিলচর শহরের পদ্মনগর, বিলপার এলাকার ৮১ বছর বয়স্ক সুধাংশু চন্দ ২৪শে মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ঐদিনই রাত এগারোটা বেজে ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
নাজিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া, বয়স ৫৫ বছর, বিগত ২৪শে মে সোমবার শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর দুটো কুড়ি মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
কাটলিছড়া এলাকার ৬০ বছরের আব্দুল নূর চৌধুরী ২৫শে মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ঐদিনই দুপুর দুটো বারো মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
রাত এগারোটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাছাড় জেলায় ঐদিন ৬০২ ব্যক্তি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৪৩৮ জন ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, আরটিপিসিআর টেস্টে ১৬৪। করিমগঞ্জ জেলায় ১১১ জন এবং হাইলাকান্দিতে ১১২ জন ব্যক্তির দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে ঐ দিন।
গতকাল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ২০৮ জন রোগী রয়েছেন, আইসিইউতে রয়েছেন ৮৮ জন। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন ৩০ জন এবং অক্সিজেন সাপোর্ট ১৬৩ জন । ৫৩ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৩২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.