Also read in

প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাঙ্গিরখাড়িতে স্কুলছাত্রদের পথ অবরোধ

0কাছাড়ের জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শিলচর উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকালের মর্মান্তিক ঘটনায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্কুলগামী ছাত্ররা তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এখানে উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় শিলচরের মেহেরপুর এলাকায় কালী প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রার ওপর ট্রাক উঠে গেলে দুজনের মৃত্যু সহ অনেকের আহত হওয়ার ঘটনায় শিলচর শোকস্তব্ধ হয়ে আছে।

এনএস এভিনিউয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাশে আজ স্কুলগামী যুবকরা রাস্তা অবরোধ করে। তারা জেলা প্রশাসক লায়া মাদ্দুরি ও তার প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ আধিকারিকরাও সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় মিটমাটের চেষ্টা করেন।

প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একজন বললেন,” সাংবাদিক মলিন শর্মার মৃত্যুর পর প্রশাসন আরো বেশি সচেতন থাকবে বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, কয়েক মাসের মধ্যেই আবার যথারীতি ট্রাক ন’ এন্ট্রি পিরিওডে ঢুকে নিরীহ মানুষদের মেরে চলে গেল, এর জন্য কি প্রশাসন দায়ী নয়? তিনি আরো যোগ করে বলেন,” তারা দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের মৃতদেহ নিয়ে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সাংসদ রাজদ্বীপ রায় এবং ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর তাদের পরিকল্পনা জানতে পারেন এবং তারা খুব ভোরে মৃতার বাসায় পৌঁছে যান। সেই সঙ্গে চেষ্টা করেন শেষকৃত্য যাতে তাড়াহুড়োয় সম্পন্ন হয়ে যায়। আমরা সাংসদকে ধন্যবাদ জানাই, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ সাহায্য দেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রাণের মূল্য কি অর্থের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব? আগামীকাল এক্ষেত্রে আমি কিংবা অন্য যে কেউ হতে পারে। এমনকি সাংসদ কিংবা ডেপুটি স্পিকারের পরিবারের একজনও হতে পারে। ক্ষতিপূরণ পরিবারকে আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করতে পারে, বিশেষভাবে যখন অর্থ উপার্জনকারী মারা যান। কিন্তু আমরা এখানে একটি ১৮ বছর এবং কুড়ি বছর বয়সী কারোর কথা বলছি, যেখানে অর্থ কোনভাবেই তাদের মেয়েকে তাদের কাছে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। তবে প্রশাসন যদি এখনও সচেতন হয় তাহলে হয়তো আরো অনেকেই এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর ঠিক সে কারণেই আমরা এই প্রতিবাদ করছি।

আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো, এমন একটা সময়, যখন প্রশাসন ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ এর প্রচারে প্রচুর ব্যয় করছে তখন দুটি তরতাজা যুবতী প্রাণ হারালো এবং নিঃসন্দেহে এটি উদ্বেগের বিষয়। প্রশাসন এরপরও ট্রাফিক ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে, না তারা এখনও কেবল আশ্বাস প্রদানেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা অবশ্যই দেখার বিষয়।

Comments are closed.