Also read in

গনিরগ্রামের স্কুলে অবাক কান্ড: শিক্ষক দেরিতে আসেন, তাই মধ্যাহ্নভোজনের রাঁধুনি ছাত্র পড়ান

কাছাড় জেলার ৫১ নম্বর গনিরগ্রাম এলপি স্কুলের একটি অবাক করা ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, মধ্যাহ্নভোজন (মিড ডে মিল) এর রাঁধুনিকে স্কুল প্রাঙ্গনে নিম্ন প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে দেখা গেছে। রাধুনীর মতে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পড়াতে দেরি করে আসেন এবং তাই তিনি শিক্ষকদের পরিবর্তে ক্লাস নেন।

কাছাড় জেলার কাটিগড়া এলাকায় অবস্থিত এই বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজন শিক্ষক থাকলেও সকালে তারা কেউই সময়মতো আসেন না। প্রতিদিন, রাঁধুনি ২-৩ ঘন্টা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।

একজন প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় মহিলা রাঁধুনি বলেন, “আমি স্কুলে রান্না করি। শিক্ষকরা এখনও আসেননি তাই আমি তাদের পড়াচ্ছি। তারা এক্ষুনি স্কুলে এসে যাবেন।”

শিক্ষকরা সাধারণত সকাল ১১টার পর একে একে স্কুলে আসেন এবং তারপর এই মহিলা রাধুনি শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার তৈরি করতে শুরু করেন। তবে একজন শিক্ষককে দেখা গেল ১০-৩০য়ে স্কুলে আসতে। তিনি নিজেই ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন যে, স্কুল সকাল ৯টায় শুরু হয় এবং তিনি দেরি করে ফেলেলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনিয়ম চললেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ বিষয়ে নীরব।

আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে বারংবার সরকারি স্কুলে শিক্ষার পরিবেশের অভূতপূর্ব উন্নতির দাবি করতে দেখা গেছে, তবে বাস্তব সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটা সরকারের দেওয়া শিক্ষার মানের মত দেখায়। এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে কাছাড় জেলার স্কুলগুলির মানের দিন দিন অবনমন ঘটছে।

Comments are closed.