গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গভীর রাতে উত্তপ্ত শিলচরের কালীবাড়ি চর এলাকা, সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা একদল দুষ্ট চক্রের
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হওযা সংঘর্ষের জেরে শিলচর শহর সংলগ্ন কালীবাড়ি চর এলাকায় রবিবার গভীর রাতে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষের লড়াইয়ের ফলে হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সহ আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফকে মাঠে নামতে হয়। ঘটনায় প্রায় দশজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় মানুষের বয়ান অনুযায়ী, এদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কালীবাড়ি চর সংলগ্ন এলাকায় থাকা ঘরবাড়ি গুলোতে অতর্কিতে পাথর ছুড়তে থাকে একদল অপরিচিত লোক। প্রথমে বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন যে তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। তাঁরাও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা হামলা করেন। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
তাঁরা জানান যে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাতের বেলা তাদের ঘরে এবং আশেপাশের এলাকায় পাথর ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটছিল। পুলিশের কাছে এসব ব্যাপারে জানালেও কোনও লাভ হয়নি আর তাই এতো বড় হামলা হয়েছে আজ।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষের ফলে সারা শহরে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয় এদিন।
পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন সহ পুলিশ বিভাগের অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌছান। রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তবে এলাকায় কড়া পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়।
রাকেশ রৌশন পরে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার কোনও কারন জানা না গেলেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে চলে আশা কোনও মনোমালিন্যের ফলেই হয়ত এধরনের ঘটনা হয়েছে। এসবের সম্পুর্ন ভাবে তদন্ত করা হবে এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হবে।
ঘটনার পাশাপাশি ফেসবুক বা এধরনের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এটিকে সাম্প্রদায়িক ঘটনা বলে অনেকে প্রচার চালায়। অনেকে ভুল ফটো আপলোড করেও অশান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও এতে কোনও লাভ হয়নি বলে জানান রাকেশ রৌশন। তবে ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
শহরের বিভিন্ন নেতারা এদিন সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচার বা গুজবে কান না দিয়ে বিশেষ অসুবিধা হলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের জানাতে অনুরোধ জানান।
Comments are closed.