Also read in

কোভিড-১৯: হাইলাকান্দিতে আরও ১৫০০ বেডের ব্যাবস্থা করতে ডিসিকে নির্দেশ মন্ত্রী পীযূষের

হাইলাকান্দি জেলায় ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোভিড কেয়ার সেন্টার গুলোতে আরও ১৫০০ শয্যার ব্যাবস্থা করতে জেলা উপায়ুক্ত মেঘানিধি দাহালকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী পিযূষ হাজারিকা । সোমবার মন্ত্রী হাজারিকা হাইলাকান্দি সফরে এসে জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, সাংসদ, বিধায়কদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে জেলার কোভিড ১৯ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন।

বৈঠকে মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা কোভিড কেয়ার সেন্টারে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই তিনটি ফেসিলিটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে উন্নীত করার পরামর্শ দেন যাতে কোভিড পজিটিভ রোগীরা ভাল সেবা যত্ন পেতে পারে। তাছাড়া রোগীদের চিকিৎসা সেবার উন্নতি সহ কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে
জেলা প্রশাসন সহ স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন ।

মন্ত্রী কোভিড -১৯ রোগীদের ইম্যুনিটি তথা অনাক্রম্যতা বাড়াতে ভিটামিন এবং অন্যান্য পরিপূরক সরবরাহের জন্য জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান। জেলা শাসক মেঘানিধি দহাল মন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে ।
বর্তমানে জেলায় মোট ৫৪ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাছাড়া কোয়ারান্টাইন সেন্টার, কোভিড কেয়ার সেন্টারে থাকা আবাসিকদের কোয়ালিটি ফুড, খাবার নিশ্চিত করার জন্যও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

ডিসি দাহাল জানান, বিভিন্ন কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা আবাসিকদের যথাসময়ে গরম খাবার সরবরাহ করতে জেলা প্রশাসন একটি কম্য্যুনিটি রান্নাঘর স্থাপনের প্ল্যান করছে। মন্ত্রী জেলা প্রশাসনের ওই পরিকল্পনার প্রশংসা করে কোভিড কাজকর্মের উপর সার্বিক নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন। তাছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্কের ব্যাবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি কড়া ভাবে কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী হাজরিকা ।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, মাস্ক না পরলে শাস্তি হিসাবে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

এর আগে জেলা শাসক মেঘানিধি দাহাল কোভিড -১৯ পরিস্থিতি এবং জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের
কাজকর্ম, বিভিন্ন পদক্ষেপের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন । তাছাড়া জেলা উপায়ুক্ত মেঘনিধি জেলায় চিকিৎসকদের ঘাটতি, পরিকাঠামোর অভাব , আইসিইউ ও ভেন্টিলেটারের অভাব, অ্যাম্বুলেন্সের ঘাটতি, ক্লিনারের অভাব সহ বিভিন্ন সমস্যা র কথা মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

এদিনের বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে শিলচরের সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায়, বিধায়ক নিজামউদ্দিন চৌধুরী, সুজামুদ্দিন লস্কর, জেলা উন্নয়ন কমিশনার, বিক্রম দেব শর্মা, অতিরিক্ত জেলা শাসক, এল এল ফাইরাম সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিক,পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন । সবশেষে
মন্ত্রী হাজারিকা এস কে রায় কোভিড -১৯ সিভিল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।

Comments are closed.