Also read in

'মিশন বসুন্ধরা': বরাক ও ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে রয়ে গেল ফারাক ; কাছাড় নেই পোর্টালে, শুধুমাত্র অফলাইন মোড

২রা অক্টোবরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ‘মিশন বসুন্ধরা’ উদ্বোধন করেন এবং এটিকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকে “একটি বিশাল পদক্ষেপ” হিসেবে অভিহিত করেন। ‘মিশন বসুন্ধরা’ -তে জমি সংক্রান্ত পরিষেবা যেমন নামজারি, জমির রেকর্ড আপডেট করা প্রভৃতি পরিষেবা একটি পোর্টালের মাধ্যমে মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়াটা উদ্দেশ্য।

“মিশন বসুন্ধরার অধীনে, নন-ক্যাডাস্ট্রাল গ্রামগুলির সমীক্ষা, সমস্ত ক্যাডাস্ট্রাল গ্রামের পুনরায় জরিপ, ভূমি রেকর্ডের ডিজিটালাইজেশন ইত্যাদি সহ বেশ কয়েকটি পরিষেবার সুযোগ নেওয়া যাবে। আমাদের লক্ষ্য এই পরিষেবাগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া,” টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, “আমাদের ফ্ল্যাগশিপ স্কিম মিশন বসুন্ধরা আজ চালু করা হয়েছে; লক্ষ্য হলো জমির রেকর্ড বিশুদ্ধকরণ এবং গ্রামগুলির জরিপ এবং পুনরায় জরিপ করা।”

যদিও এটি প্রকৃতপক্ষে রাজ্য কর্তৃক গৃহীত একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, কাছাড় জেলাকে পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ভূমি মিউটেশন বিভাগে, সুবিধাভোগীদের ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে জেলা নির্বাচন করতে হয় । যাইহোক, কাছাড় জেলা ওই ড্রপডাউন মেনুর তালিকায় নেই। তাহলে, ভোটের প্রতিশ্রুতি কি কাছাড়ের মানুষের জন্য ছিল না!!

“সেটলমেন্টের কাজ চলার জন্য কাছাড়ের জমির রেকর্ড ডিজিটাইজ করা হয় নি। সেজন্য ড্রপ ডাউন মেনুতে কাছাড় জেলা আসে না,” কাছাড় এবং হাইলাকান্দি জেলার সেটেলমেন্ট অফিসার জেসিকা রোজ লালসিম স্পষ্টীকরনে জানান।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, সেটেলমেন্ট অপারেশন মানে জমির রেকর্ড আপডেট করা। মিশন বসুন্ধরা কার্যকর হওয়ার জন্য সমস্ত ম্যানুয়াল জমির রেকর্ড ডিজিট্যালে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। যে দুইটি জেলা ড্রপডাউন মেনুতে পাওয়া যায় না সেই কাছাড় এবং হাইলাকান্দি দুই জেলাই একই সেটেলমেন্ট অফিসের অধীনে। জে আর লালসিম জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পটি অফলাইনে পাওয়া যাবে।

“যেসব জেলায় সেটেলমেন্টের কাজ চলছে সেখানে ‘মিশন বসুন্ধরা’ অফলাইনে বাস্তবায়ন করা হবে। জনগণ তাদের আবেদন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কাম সার্কেল অফিসারদের কাছে জমা দেবেন এবং তাদের কাজ সম্পন্ন করা হবে,” জানান সেটেলমেন্ট অফিসার, জে আর লালসিম।

কাছাড় জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে যে, কর্মীর অভাব রয়েছে। যার কারণে তথ্যগুলো এখনও ডিজিটালাইজ করা হয়নি।

‘বসুন্ধরা’ আসামের মানুষের সমস্যা সমাধানের একটি মিশন।এটি জমি ক্রয়, বিক্রয় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে, জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি রোধ করে। মিশন বসুন্ধরা মানুষ এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে, ড্রপ ডাউন মেনুতে কাছাড়ের নাম না থাকা কি বরাক -ব্রহ্মপুত্রের ব্যবধানকে প্রকাশ করে না! ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার লোকেরা যখন ঘরে বসে এই প্রকল্পটির সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে, তখন কাছাড়ের লোকদের একই পরিষেবা পেতে আবেদনপত্র নিয়ে সার্কেল অফিসারের কাছে যেতে হবে, এটা খুবই দুঃখজনক।

Comments are closed.