গুলতি এবং মার্বেল দিয়ে কংগ্রেস দলকে আক্রমণ মিজো দুষ্কৃতির; "এই মার্বেল সর্বাকে উপহার দেবো," সুস্মিতা
শনিবার কাছাড়ের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে বন্দুক দেখিয়ে ফিরে যেতে বলেছিল লায়লাপুরে অসমের জমি দখল করে থাকা মিজো বাহিনী। এবার তারা কংগ্রেস প্রতিনিধিদের উপর রীতিমত আক্রমণ করল, আহত হলেন পরিদর্শনকারী কংগ্রেস কর্মীরা। রবিবার সকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকীয়া এবং জাতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি দল এলাকা পরিদর্শন করতে যায়। সেখানে অসমের জমিতেই প্রথমে তাদের বাধা দেয় মিজোরামের পুলিশ, তারা বলে এটি মিজোরামের এলাকা আপনারা এখানে প্রবেশ করবেন না। তারা কথা শুনেননি এবং এগিয়ে যেতে থাকেন। শুক্রবার রাতে যে বিদ্যালয়টিকে বোমা মেরে দুষ্কৃতীরা উড়িয়ে দিয়েছিল সেখানে যাওয়ার পর তাদের উপর হঠাৎ করেই হামলা করে মিজো বাহিনী। গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়তে থাকে তারা, এতে দলের দুই ব্যক্তি আহত হন।
সুস্মিতা দেব বলেন, “আমরা অসমের জমিতে মিজোরামের পুলিশের দ্বারা বাধা পেয়েছি, এটা কেমন কথা। যে সেতুতে আমাদের আটকানো হয়েছে সেটা কংগ্রেস জমানায় বানানো হয়েছে। প্রাক্তন বিধায়ক গিরীন্দ্র মল্লিক এই সেতুটি বানাতে সাহায্য করেছিলেন। যে বিদ্যালয়ে বোমা মারা হয়েছে, সেটা অসম সরকারের অধীনে রয়েছে। অথচ সেই এলাকায় আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, জেলাশাসককে বন্দুক দেখানো হয়েছে, এটা রীতিমতো জঙ্গি কার্যকলাপ। আমি নেডার আহবায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনি কেন এব্যাপারে এখনও চুপ করে আছেন। অসমের জমিতে দাঁড়িয়ে এক বাহিনী আমাকে বলছে এটা মিজোরামের জমি, আপনারা এখানে আসবেন না। তারা খালি হাতে নয়, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। এটা কি কোন আন্তর্জাতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে? না ভারতবর্ষের দুই রাজ্যের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ? আমরা বুঝে উঠতে পারিনি।”
এদিন দলনেতার সঙ্গে এলাকায় উপস্থিত হন করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিং, দলের কর্মী রাজেশ দেব অভিজিৎ পাল কুশল দত্ত সহ অন্যান্যরা। তাদের সামনেই হঠাৎ করে মিজো বাহিনী গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়তে থাকে। কেউ কেউ আহত হন। এরপর মার্বেলগুলো কুড়িয়ে তুলে আনেন কংগ্রেস কর্মীরা। সুস্মিতা দেব এলাকায় দাঁড়িয়ে বলেন, “আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই মার্বেলগুলো উপহার হিসেবে পাঠাবো। তার সরকারের অধীনে রাজ্যের পুলিশ এতটাই দুর্বল, তাদের সামনে মিজোরামের সাধারণ লোকও অনেক বেশি শক্তিশালী।”
শনিবার যেভাবে মিজো বাহিনীর বাধা পেয়েও কাছাড়ের জেলাশাসক অন্যপথে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। সুস্মিতা দেব সহ কংগ্রেসের কর্মীরা একইভাবে যতদূর পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়া যায় ততটুকুই এগোনোর চেষ্টা করেন। তাদের লাগাতার ভয় দেখালেও অসম এবং মিজোরামের মধ্যে থাকা আসল সীমান্ত তারা পরিদর্শন করেন।
Comments are closed.