সীমান্তে গ্রেনেড হামলা, মিজো দুষ্কৃতির নিশানায় আসাম সরকারের প্রতিনিধি; 'তদন্ত করব' জানালেন এসপি
চাঞ্চল্যকর সংবাদ আসছে ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের আসাম- মিজোরাম সীমান্তের লায়লাপুর এলাকা থেকে।
আজ রাজ্যের এডিজিপি হারমিত সিং কাছাড় জেলার ডেপুটি কমিশনার কীর্তি জাল্লি, কাছাড় জেলার পুলিশ অধীক্ষক বৈভব চন্দ্রকান্ত নিম্বালকার, পূর্বতন পুলিশ অধীক্ষক মানবেন্দ্র রায় এবং অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে এক উচ্চস্তরীয় প্রতিনিধিদল আসাম মিজোরাম সীমান্তে লায়লাপুর এলাকা পরিদর্শনে যান।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মিজো দুষ্কৃতীরা আসাম সীমান্ত অতিক্রম করে আসামের এলাকায় ঢুকে ধলাই, ধলাখাল থেকে পাইনাম পর্যন্ত নির্মীয়মান রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজে বাধা দান করছিল। যেহেতু কাজে ব্যাঘাত করছিল তাই এই উচ্চস্তরের প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শনে যান। মিজোরা এই প্রতিনিধি দলকে ও বাধা প্রদান করতে উদ্যত হয় । তখন আসাম পুলিশের বিশাল বাহিনী তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। এই মিজোরা মূলত অসামরিক লোক হলেও তাদের সাথে কয়েক জন সশস্ত্র ব্যক্তিও ছিল। উত্তেজনার মুহূর্তে এদের মধ্য থেকে একজন আসাম রাজ্যের এই প্রতিনিধিদলকে লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারে; গুলতি দিয়ে ও আক্রমণ করা হয়।
গ্রেনেড বিস্ফোরণের সংবাদ বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া গেছে। এই উচ্চস্তরীয় প্রতিনিধি দলের একজন ও গ্রেনেড হামলার সংবাদ স্বীকার করে বলেছেন, ‘ভাগ্যক্রমে কারোর গায়ে লাগেনি’।
গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ অধীক্ষক নিম্বালকার বলেন, ‘একটা শব্দ পাওয়া গেছে; সেটা আমরা তদন্ত করছি। মিজো দুষ্কৃতীরা চার থেকে ছয় কিলোমিটার আসামের এলাকায় প্রবেশ করেছে। আমরা ওদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে এবং বল প্রয়োগ করে পুশব্যাক করে হঠিয়ে দিচ্ছি।’
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, এই পাইনাম এলাকাতে কিছুদিন আগে একটি স্কুল ঘর বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছিল মিজো দুষ্কৃতীরা এবং তখন ডিআইজি বলেছিলেন যে এটা একধরনের সন্ত্রাস।
স্থানীয় পুলিশ এটা নিশ্চিত করেছে যে, ঘটনাস্থলটি আসামের ভৌগোলিক সীমানার ভেতরেই এবং পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিজোরা আসাম সীমান্তের সাড়ে ছয় কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে। দিসপুর এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এডিজিপি হারমিত সিং এর নেতৃত্বে কিছুদিনের মধ্যেই অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা মিজোদেরকে আসামের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এডিজিপি সিং এলাকাকে ‘নো প্রেস জোন’ ঘোষণা করেন এবং সাংবাদিকদের রুখে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বেশ কিছু লোক এলাকা ছেড়ে যাওয়া শুরু করেছেন বলে জানা গেছে । দিনের বেলায় যদি উচ্চস্তরীয় প্রতিনিধিদলকে গ্রেনেড হামলার শিকার হতে হয়, তবে রাতে পরিস্থিতি কি দাঁড়াতে পারে এই ভেবে তারা খুবই চিন্তিত।
Comments are closed.