বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর কে হত্যার হুমকি : পুলিশ সুপার জানালেন তদন্ত করে যথোচিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৯ জুন তারিখে সোনাইয়ের বিধায়ক আমিনুল হক লস্করের বাড়িতে ডাকযোগে লাল কালিতে লেখা একটি চিঠি আসে। চিঠিটা হাতে লিখা ছিল, তবে চিঠির ছাপানো লেটার হেডে সংস্থার নাম লিখা ছিল ‘সেভ সিকিয়র এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোটেকশন ফোর্স অফ বরাক ভ্যালি জোন আসাম’ (Save Secure and Development Protection Force of Barak Valley Zone Assam)। আক্রমণাত্মক এই চিঠিতে বিধায়কের হত্যার হুমকির কথা লিখে সাথে আবার দুটো তাজা বুলেট টেপ দিয়ে আটকানো ছিল।
এই চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল হায়দার হোসেন খান নামক এক ব্যক্তির যে নিজেকে ওই সংগঠনের সহ-সভাপতি এবং বরাক উপত্যকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করছিল।
এই চিঠিতে প্রেরক বিধায়ক আমিনুল আমিনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে যে, বিধায়ক ব্যক্তিগত লাভের জন্য মুসলিমদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন এবং তাদের নাম বিজেপিতে অন্তর্ভুক্ত করছেন। প্রেরক আরো অভিযোগ করেছে যে বিধায়ক একজন মুসলিম বিরোধী কারণ তিনি বিজেপিকে সমর্থন করছেন। চিঠিতে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিজেপি দল ত্যাগ না করলে তাকে মৃত্যু মুখে পতিত হতে হবে। শুধু এই নয় এই চিঠিতে তার পরিবারের সবাইকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক আমিনুল হক লস্করের নাগরিকত্ব বিল,২০১৬ কে সমর্থন করা কে প্রচন্ড মুসলিম বিরোধী কাজ বলে গণ্য করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিধায়ক লস্কর জানান, “আমার বিজেপি ত্যাগের কোন প্রশ্নই ওঠে না । আমি বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে অনেকগুলো বেআইনী সিন্ডিকেট, যেগুলো বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল, তা ভেঙ্গে দিতে পেরেছি। যার ফলে এই বেআইনি আয়ের সহজ পথটা বন্ধ হয়ে গেছে এবং এর ফলে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে আমি এইসব হুমকিতে মোটেই চিন্তিত নই।”
বিধায়ক এই হুমকিতে চিন্তিত না হলেও জনগণের হাতে এমন অস্ত্রশস্ত্র থাকায় ক্ষোভ ব্যক্ত করেন , কারণ এটা যেকোন সময়ই সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে। সূত্র অনুযায়ী এই চিঠিটি করিমগঞ্জ থেকে গত মে মাসের ২২ তারিখ ডাকে দেওয়া হয়েছিল।
আমাদের প্রতিনিধি কাছাড় জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রাকেশ রৌশনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “পুলিশ এই ব্যাপারে তদন্ত করছে। আমাদের রেকর্ডে এরকম কোন সংগঠনের নাম নেই, তাই প্রেরককে চিহ্নিত করে তবেই বোঝা যাবে এটা এক নিছক ধাপ্পা কিনা । তবে প্রয়োজন হলে বিধায়কের নিরাপত্তা অবশ্যই বাড়ানো হবে।”
Comments are closed.