শিলচরে যুবতীকে মাদক খাইয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, গ্রেফতার হোটেল মালিক
এক যুবতীকে ফুসলিয়ে শিলচরে এনে মাদক দ্রব্য খাইয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে চাতলার নির্মল দাসের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রাঙ্গিড়খাড়ি থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে এবং সে আপাতত পলাতক বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার। পুলিশ এক ব্যক্তিকে ঘটনায় গ্রেফতার করেছে।
মেয়েটির পরিবারের তরফে দেওয়া এজাহার অনুযায়ী, ঐদিন ছেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় মেয়েটির এবং সে কোনও এক বিশেষ কারণে শিলচর দেখা করতে আসে। রাঙ্গিরখাড়ির শরৎ হোটেলে এক রুমে তারা দেখা করে। সেখানে মেয়েটিকে মাদকদ্রব্য খাওয়ায় ছেলেটি এবং তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরিবারের তরফে অনেক খোঁজাখুজি করার পর তাকে উদ্ধার করা হয়।
তারা রাঙ্গিড়খাড়ি থানায় যুবকটির নামে এজাহার দায়ের করেন। থানার ইনচার্জ উৎপল চন্দ বলেন, ঘটনায় শরৎ হোটেলের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সেখানে অবৈধ কাজ হয় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্মল দাসের সঙ্গে যুবতীর আগেই পরিচয় ছিল, তারা ফোনে যোগাযোগ করে। সে যুবতীটিকে এদিন দুপুরে ফুসলিয়ে হোটেলে নিয়ে যায়। মেয়েটি বাড়িতে না জানিয়ে আসে, তবে তার দিদি কিছুটা আচ করতে পেরেছিল। সেদিন দিদির সঙ্গেই প্রথমে শিলচর আসে যুবতীটি। অনেকক্ষণ ধরে তাকে ফোনে না পাওয়ায় দিদি তার খোঁজ শুরু করে। সবাইকে ফোন করতে করতে একসময় সে বুঝতে পারে যে তার বোন শরৎ হোটেলে ঐ ছেলেটির সঙ্গে আছে। ছেলেটি তাকে ফোনে বোনের অবস্থা জানিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করে বোনকে নিয়ে যায় দিদি। জ্ঞান ফিরে এলে যুবতীটি জানায় তাকে কোল্ডড্রিংক্স জাতীয় কোনও এক পানীয় খাওয়ানো হয়েছিল এবং তার পরেই সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তার শ্রীলতাহানি হয়েছে কিনা তা মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে। তবে দিন দুপুরে একটি মেয়েকে শিলচরের এক হোটেলে এনে এভাবে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
উৎপল চন্দ বলেন, শরৎ হোটেলে রুম ভাড়া দেওয়া হয় অথচ তাদের কোনো রেজিস্টার নেই। যারা রুম নিতে আসছে তাদের কোনও ধরনের পরিচয় দেখা হয়না এবং এর ফলে এই এধরনের ঘটনা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা এবার কড়া পদক্ষেপ নেবো।
Comments are closed.