বিষাক্ত কিছু খেয়েই মৃত্যু হয়েছে কাটিগড়ার ১৩টি বানরের
বিষাক্ত কিছু খেয়েই মৃত্যু হয়েছে কাটিগড়ার ১৩টি বানরের, এমনটাই জানিয়েছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। তবে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এদের বিষ খাইয়েছে কিনা এবিষয়ে তদন্ত চলছে। সম্ভবত তারা বিষাক্ত কিছু খাওয়ার পর জলের সন্ধানে টেঙ্কে ঝাঁপ দিয়েছিল। এদিকে, বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,এ ঘটনা আমাদের কাছে একটি কলঙ্ক। বানরগুলো কিভাবে বিষাক্ত পদার্থ খেয়েছে এর তদন্ত চলছে। এখনই বলা সম্ভব নয়, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এদের বিষ খাইয়েছে কি না, তবে যদি কেউ কাজটি করে থাকে, তবে দোষীর বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কাঠিগড়ার কাতিরাইল এলাকার ভুলাগৌরী জল সরবরাহ প্রকল্পের ট্যাঙ্কের জলে ১৩টি বানরের শবদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বনবিভাগের আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত হন এবং শবগুলো উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় পশু চিকিৎসালয়ে শবদেহগুলোর পরীক্ষা করা হয় এবং জানা যায় বিষাক্ত কিছু খাওয়ার ফলেই বানরগুলোর মৃত্যু হয়েছে। আধিকারিকরা মনে করছেন, বাইরে থেকে বিষাক্ত জিনিসগুলো খেয়ে জলের সন্ধানে ট্যাংকে ঝাঁপ দিয়েছিল বানরগুলো, এতেই তাদের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি কেরালায় আনারসের মধ্যে বাজি পটকা ঢুকিয়ে খাওয়ানর ফলে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও এধরনের ঘটনায় গরু সহ অন্যান্য প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এবার বরাক উপত্যকায় একসঙ্গে ১৩টি বানরের মৃত্যু চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রবিবার রাত থেকেই অনেকে খবরটি শেয়ার করছেন এবং ঘটনার ধিক্কার জানাচ্ছেন।
বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর সঙ্গে এব্যাপারে কথা বললে তিনিও উষ্মা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পিছনে আসল তথ্য কী সেটা জানার পর আমরা কাউকে দোষারোপ করতে পারি। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা গেছে, বিষাক্ত কিছু খাওয়ার ফলে এদের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি সারা দেশে কয়েকটি এধরনের ঘটনায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে। আমাদের উপত্যকায় এধরনের ঘটনা আগে শোনা যায়নি। বনবিভাগের আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত করছেন। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করে থাকে, তবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব আমি। দেশে কঠোর আইন রয়েছে। তবে আগামীতে যাতে এধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেদিকেও নজর রাখবে আমাদের বিভাগ।
বিভাগের আধিকারিকরা বলছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে এদের পেটে কিছু বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। আরও তদন্ত বাকি রয়েছে, হয়তো নতুন দিক উদঘাটিত হতে পারে। তবে ঘটনার পিছনে কোনও মানুষের হাত রয়েছে কিনা এর তদন্ত চলছে। আমরা এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তাদের সহযোগিতায় আগামীতে এধরনের ঘটনা থেকে স্থানীয় পশু-পাখিদের রক্ষা করার পরিকল্পনাও চলছে।
Comments are closed.