Also read in

ই-রিক্সা চলাচলের অনুমতির সাথে আরো ১০০০ অটোর পারমিট : যানজট কে ঠেকাবে!

ই-রিক্সা চলাচলের অনুমতির সাথে আরো ১০০০ অটোর পারমিট : যানজট কে ঠেকাবে!

ই-রিক্সা বনাম অটোরিকশার দ্বন্দ্বের অবসানে ই-রিক্সাকে শহরে চলাচলের অনুমতি দিতে গিয়ে প্রশাসন অটো মালিক সংস্থার সাথে এক সমঝোতায় উপনীত হলেন, এটাই গতকালের সভার মোদ্দা কথা। ই রিক্সা মালিক-চালক সংস্থা এবং ট্রাফিক অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সাথে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন স্বয়ং জেলা শাসক ডক্টর এস লক্ষ্মণন।‌ বলা হচ্ছে ট্রাফিক এডভাইজরী বোর্ড, অটো সংস্থা, ক্রুজার সংস্থা, ই রিক্সা চালক- মালিক সংস্থার সাথে শলা পরামর্শ করে সম্মিলিত ভাবে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ই-রিক্সার আবেদনকারীদের শহরে চলার অনুমতি দেয়া হবে, সেই সাথে আরো ১০০০ অটোরিক্সার পারমিট ও দেওয়া হবে।

সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে খুশি ব্যক্ত করেছেন ই রিকশা সংস্থার উপদেষ্টা সূর্যকান্ত সরকার, আইনজীবী অঞ্জন চৌধুরী, যতীন্দ্র দাস, সজল দাস, অর্জুন চৌধুরী, নিশিকান্ত সরকার প্রমূখ। তারা জানান, এটা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জয়। এই সিদ্ধান্তে প্রায় এক হাজার যুবকের বে-রোজগার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল।

বলাবাহুল্য যে শহরাঞ্চলের তীব্র যানজটের কারণে নতুন করে অটোরিক্সার পারমিট দেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছিল বেশ কিছুদিন ধরে। যাদের অটো রিক্সার জন্য আবেদন এতদিন স্থগিত করে রাখা হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকেই এই ১০০০ পারমিট দেওয়া হবে। এখন শ‍্যাম এবং কুল রাখার এই সিদ্ধান্তে সাধারণ জনগণকে বলির পাঁঠা বানানো হলো। কারণ, তীব্র যানজটে শহরের রাস্তায় চলাচলকারীদের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে । তার ওপর এই সিদ্ধান্ত যানজটকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এমনিতেই অটোরিক্সা গুলো ট্রাফিক আইনের বিন্দুমাত্র পরোয়া করে না। হাত দেখালেই রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়তে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না, ট্রাফিক পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এর সাথে যদি আরও এক হাজার অটোরিক্সা যোগ হয় তাহলে তীব্র যানজট থেকে রক্ষা করার সাধ্যি বোধহয় শিবের ও অসাধ্য ।

পরিবেশ বান্ধব এবং সুলভ যানবাহন হিসেবে শহরতলী এলাকায় সীমিত সংখ্যক ‘টুকটুক’ চলাচলকে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। তাই ১০ সেপ্টেম্বরের পরে আর নতুন করে ই-রিক্সার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো চলে । তাই বলে, আরো ১০০০ অটো!

Comments are closed.