
মালুগ্রামে জ্যাঠতুতো ভাইয়ের যৌন লালসার শিকার ৮ আট বছরের শিশু কন্যা, থানায় মামলা করলেন মা
২০ এপ্রিল মালুগ্রামের ইটখোলা এলাকায় একটি ৮ বছরের শিশু পরিবারের এক সদস্যের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা শিশুকন্যাটি এবং তার মাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে আটকে রেখেছিলেন। তার ন্যূনতম চিকিৎসাও শুরু হয়নি। এতে ধীরে ধীরে শিশুকন্যাটির গোপন স্থানে ইনফেকশন হয় এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সম্প্রতি শিলচরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কন্যার জীবন সংশয়ের পরিস্থিতি চলে আসায় তার মা সাহস যুগিয়ে পুলিশের কাছে তথ্যটি তুলে ধরেছেন। তবে এর আগে অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিতে সমর্থ হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তারা মামলা গ্রহণ করেছেন এবং শিশুকন্যাটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছেন। এবার অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে আটক করা হবে এবং তার জিজ্ঞাসাবাদ হবে।
শিশু কন্যার মা এজাহারে বলেছেন, ২০ এপ্রিল দিনের বেলা তার ভাসুরের ছেলে এধরনের কাজ করেছে। তিনি পাশের ঘরেই ছিলেন এবং শিশুকন্যাটি একা থাকা অবস্থার সুযোগ নিয়ে তার মুখ চাপা দিয়ে যৌন নিগ্রহ করেছে। তিনি দেখামাত্র ছেলেটি তাকে ভয় দেখায়, এই কথা প্রকাশ্যে এলে মা এবং মেয়েকে মেরে ফেলবে, বাঁচতে হলে চুপ থাকতে বলে সে। তাকে পরিবারের আরও কিছু লোকও সহায়তা করেন। কন্যার কথা ভেবে মা মুখ বন্ধ করেছিলেন, কিন্তু তার ন্যূনতম চিকিৎসাটুকু না হওয়ায় পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেছে। এবার তার ছোট্ট মেয়েটির গোপন অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং সে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি এই পর্যায়ে এসে পৌঁছাতো না যদি আমি সময় মত সাহস যুগিয়ে প্রতিবাদ করতে পারতাম। এবার আমার মেয়ের জীবন সংকটে আমি আর চুপ করে থাকব না। হয়ত এরপর পরিবার বা পারিপার্শ্বিক সবার কাছ থেকে থেকে আমার ওপর নানান ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হতে পারে। তবে এখন আর আমি তাদের ভয় পাচ্ছি না। আমি চাই দোষীকে অতিসত্বর আটক করা হোক এবং কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা হোক।”
মালুগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এসকে সিমতে জানিয়েছেন, মহিলার এজাহারের উপর ভিত্তি করে তারা অনুসন্ধান শুরু করেছেন। তবে অভিযুক্ত এর আগেই পালিয়ে গেছে এবং তাকে এখনও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। যেহেতু ঘটনাটি একটি শিশুর সঙ্গে হয়েছে এবং অভিযুক্ত পরিবারের লোক, তাই গোপনীয়তা বজায় রেখে অনুসন্ধান করতে হচ্ছে। তবে পুলিশ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর নজর রাখছে। অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করা হবে।
Comments are closed.