জেলায় ৮০০ বন্যাক্রান্ত পরিবারে ত্রাণ বন্টন মুকুল মাধব ফাউন্ডেশনের
সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী অসমে এবারের বন্যা গত পনের বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতি করেছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে আক্রান্তদের পুনর্বাসনের জন্য অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। মুম্বাইয়ের ফিনোলেক্স কোম্পানি তাদের সিএসআর মুকুল মাধব ফাউন্ডেশনের অধীনে অসমে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন হাজার পরিবারকে প্রাণ দিয়েছে। বুধবার কাছাড় জেলায় প্রায় ৮০০ পরিবারে তারা ত্রাণ বিতরণ করে।
বুধবার সকালে শহরের আশ্রম রোড সংলগ্ন তপোবন নগর এলাকায় ত্রাণ বন্টনের মাধ্যমে জেলায় অনুষ্ঠানটির শুরু হয়। চাল, ডাল, বিস্কুট, তেল সহ নানান প্রয়োজনীয় জিনিস প্যাকেটে করে প্রত্যেক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকদের তরফে সত্যজিৎ বড়ুয়া জানান, অসমের বন্যার কথা এবার অত্যন্ত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সারা দেশের মানুষ এ ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন। আমাদের কোম্পানির কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির কাজটি মুকুল মাধব ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করা হয়। আমরা অসমের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে সাধারণ মানুষের হাতে কিছুটা ত্রাণ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মত কাছাড়েও বন্যা বিরাট আকার ধারণ করেছিল, এটা আমরা শুনেছি। রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় কাজ শেষ করে এবার আমরা কাছাড়ে কাজটি শুরু করেছি। শিলচর শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় ৮০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সারারাত ধরে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পরিবারকে ত্রাণ বন্টন করা হয়েছে মুকুল মাধব ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। আমাদের কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঋতুপর্ণা ছাবিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে এই উদ্যোগে। তার সাহায্যে আমরা কাজটি করতে পেরেছি। শিলচরের বনমালী হার্ডওয়ারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করা হয়েছে। তারাই আমাদের জানান যে কাছাড়ে বিভিন্ন এলাকায় কিভাবে এখনও ত্রাণের প্রয়োজন রয়েছে। এদিন সত্যজিৎ বড়ুয়ার সঙ্গে মনন দাস, দীপায়ন পাল, বিশ্বজিৎ পাল সহ অন্যান্যরা যোগ দেন।
Comments are closed.