
জন্ম নিল 'শান্তি', প্রমাণ হলো বরাক উপত্যকা সত্যিই শান্তির দ্বীপ
মানবিক মুখ ভেসে উঠলো শত দ্বিধা দ্বন্দের মাঝখানেও, ভেসে উঠলো নিঃস্বার্থ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক চিত্র।
আজ হাইলাকান্দির জেলা উপায়ুক্ত যে সত্যি ঘটনাটা সবার সামনে তুলে ধরলেন, সেটা সত্যিই একরাশ আলোর ঝলকানি নিয়ে আসলো।
এই মে মাসের ১২ তারিখে গোধূলি মুহূর্তে রুবন দাস এবং শ্রীমতি নন্দিতা দাস একটা ছেলে সন্তান পেলেন। হাইলাকান্দি এস কে রায় অসামরিক হাসপাতালে জন্ম নিল শিশু। হাইলাকান্দি থেকে রাজ্যেশ্বরপুর প্রথম খন্ডে নিজের বাড়িতে মা ও শিশু সন্তানকে নিয়ে যাওয়া হবে কি করে ! বাইরে যে তখন দুর্যোগের ঘনঘটা- চলছে কার্ফু।
রুবন দাস এই সংকট মুহূর্তে বন্ধু মকবুল হোসেন লস্করকে স্মরণ করলেন। প্রতিবেশী মকবুল নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে আসতে দ্বিধা করলেন না। শিশু সন্তানসহ বন্ধু এবং বন্ধু পত্নীকে ঠিকঠাকমতো পৌছে দিলেন রাজ্যেশ্বরপুরের বাড়িতে।
এই শিশুরই নাম রাখা হলো শান্তি- শিশুটি যে শান্তির দূত। এই শান্তির দূতকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মকবুল হোসেন লস্কর এবং রুবন দাস শান্তিনীড়ে নিয়ে এলেন।
শিশুটিকে কোলে নিয়ে জেলা উপায়ূক্ত কীর্তি জল্লি আদরে আদরে ভরিয়ে তুললেন, অভিনন্দন জানালেন দুই বন্ধুর বন্ধুত্বকে। অক্ষয় হোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
Comments are closed.