রোশমাকে হত্যার অভিযোগে এজাহার রুজু করলেন মা রহিমা বেগম
হতভাগ্য সেই তরুণী রোশমা বেগম লস্করকে হত্যার অভিযোগে এক প্রাথমিক এজাহার দায়ের করলেন রোশমার মা রেহিমা বেগম।
শহরের প্রাণকেন্দ্র উল্লাসকর দত্ত সরণিতে অবস্থিত শনি মন্দিরের কাছে গতকাল সাত সকালে এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পরে প্রকাশ পায়, মেয়েটি সোনাই সমষ্টির বাগপুর অঞ্চলের। মেয়েটির বাবা নাসির উদ্দিনের সাথে মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মা রেহিমা বেগম মেয়েকে নিয়ে ওই অঞ্চলে বসবাস করছিলেন। রোশমার সঙ্গে নতুনবাজারের জাকির লস্করের (পরিবর্তিত নাম) সঙ্গে মেলামেশা ছিল। সূত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে বাগপুরে গিয়ে জাকির রোশমার বাড়িতেও যায়। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ জাকির ফোন করে রোশমাকে। এরপরই ঘর থেকে বেরিয়ে আসে রোশমা, আর ফিরে যায়নি। ওই সূত্র মতে, মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার মা ফোন করলে মোবাইল সুইচ অফ পান । তার পরই গতকাল দুপুরে মেয়ের মোবাইল থেকে পুলিশের ফোনে বিস্তারিত জানতে পারেন তিনি।
আজ নতুন করে একটা এজাহার দাখিল করে জাকির উদ্দিনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছেন রহিমা।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা না গেলেও প্রাথমিকভাবে এটা খুনের ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে পুলিশ। পোস্টমর্টেমের পর আজ মরদেহ পরিবারের কাছে সমঝে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গতকাল রামনগর আইএসবিটি সংলগ্ন স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া অন্য এক মৃতেরও পরিচয় এসেছে। ঐ মৃত ব্যক্তি হলো শশীকান্ত বৈষ্ণবের পুত্র বাসুদেব বৈষ্ণব। গত সোমবার রাত দশটা নাগাদ পাঁচগ্রাম এলাকার পার্কিং থেকে একটি লরি উধাও হয়ে যায়, তারপর থেকেই লরির সহচালক বাসুদেবের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বাসুদেব দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকের সহচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিল। সোমবার রাতে বাসুদেবকে ট্রাকে রেখে চালক রাতের খাবার খেতে যায়, পরে ফিরে এসে ট্রাক এবং বাসুদেব কাউকেই দেখতে পায়নি। পুলিশের অনুমান এতে কোন গাড়ি চোর চক্রের হাত রয়েছে। তারা বাসুদেব কে মেরে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বরাক উপত্যকায় অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় শহর তথা উপত্যকা জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
Comments are closed.