
কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু : ধৃত ন্যাশনাল হাইওয়ে এলাকার পাপ্পু রায়
ন্যাশনাল হাইওয়ে এলাকার পাপ্পু রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো কিশোরী পরিচারিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। ১৬-১৭ বছর বয়সের কিশোরী পরিচারিকা সুমি (বিজয়া) দাসের বাড়ি মাছুঘাটে। ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগে বাড়ির মালিক কানু রায়ের ছেলে পাপ্পু রায়কে গ্রেফতার করেছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে ন্যাশনাল হাইওয়েতে কানু রায়ের বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় চুড়িদারের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস পরানো অবস্থায় সুমির দাসের মৃতদেহ; মৃতদেহ ঝুলছিল ভেন্টিলেটরে তবে পায়ের কিছু অংশ বিছানা ছুঁয়েছিল।
কানু রায়ের বাড়ির লোকেদের বয়ান অনুযায়ী আগেরদিন বিশ্বকর্মা পূজা থাকায় ঘুম থেকে সবাই দেরিতে উঠে। সকাল ন’টা নাগাদ পাপ্পুর পত্নী সহ অন্যান্যরা সুমির ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান মৃতদেহ ঝুলছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে; ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ অন্তিম সংস্কার করা হয়।
এদিকে, বিকেলে বরাক উপত্যকার কৈবর্ত সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সদস্যরা ঘেরাও করেন ন্যাশনাল হাইওয়ে পুলিশ পেট্রোল পোস্ট। পরিষদের পক্ষ থেকে অঞ্জন চৌধুরী, সুজিত দাস চৌধুরী, সজল কান্তি দাস, গিরীন্দ্র দাস, অরবিন্দ দাস ও নিশিকান্ত সরকাররা দায়ের করেন প্রাথমিক এজাহার। তাদের অভিযোগ, খুব সম্ভবত সুমির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল পাপ্পু; বিয়ের জন্য চাপ দিতেই পাপ্পু হত্যা করে বিজয়াকে- এমনই তাদের সন্দেহ। সন্দেহের কারণ, মৃতার বাড়ির লোকদের না জানিয়েই পাপ্পুরা সেরে ফেলেছেন মৃতদেহের অন্তিম সংস্কার। তবে পাপ্পু রায়ের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে রহস্য উদ্ঘাটন হবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে
Comments are closed.