জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৮: আসামের মেয়ে রিমা দাস পরিচালিত "ভিলেজ রকস্টারস" সেরা ফিচার ফিল্ম হিসেবে ঘোষিত
একদিকে যখন আসামের কয়েকটি অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে, তখন রাজ্য ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে বড় সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে যা আসামের জন্য সত্যি গৌরবজনক। আজ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করা হয়। রিমা দাস লিখিত ও পরিচালিত অসমীয়া চলচ্চিত্র “ভিলেজ রকস্টারস” শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছে। অসমীয়া চলচ্চিত্রের জন্য এটি একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত কারণ এই সম্মানটি ২৯ বছর পরে আসামের আরো একজন পেলেন। জাহ্নু বরুয়া “হালোদিয়া ছড়ায়ে বাওধান খাই” এর জন্য ১৯৮৭ সালে এই পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
“দরিদ্র কিন্তু বিস্ময় শিশুদের” একটি আসন্ন যুগের গল্প “ভিলেজ রকস্টার্স”, যারা একটি সন্তোষজনক, মজাদার এবং সুখী জীবন যাপন করে। চলচ্চিত্রের গল্পটিতে দেখানো হয় কিভাবে দারিদ্র্যপীড়িত শিশুদের একটি দল সত্যিকার অর্থে জীবনের অর্থ বুঝতে সক্ষম হয় এবং তাদের রক ব্যান্ডের মাধ্যমে কিভাবে একে অপরের জীবনে সুখ আনতে সমর্থ হয়।
চলচ্চিত্র নির্মাতা রিমা দাসের এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ সম্পাদন (রিমা), বেস্ট অডিওগ্রাফি (মল্লিকা দাস) এবং শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর (ভনিতা দাস) জন্য পুরস্কৃত হয়। চলচ্চিত্রটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এবং খুবই ভাল প্রতিক্রিয়া আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
এখানে দেখুন “ভিলেজ রকস্টার” এর ট্রেলার
আজ সকালে দিল্লিতে সরকারের ডিরেক্টরেট অব ফিল্ম এন্ড ফেস্টিভ্যালস দ্বারা আয়োজিত ৬৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করেন বোর্ডের প্রধান শেখর কাপুর। এই পুরস্কার ঘোষণা করার আগে তিনি আমাদের দেশে আঞ্চলিক সিনেমা তৈরির ব্যাপারে প্রশংসা করে বলেন, “আমি জানতাম না যে আসামে তৈরি চলচ্চিত্রগুলি কেন্স (Cannes) পর্যন্ত যেতে পারে।”
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ভারতীয় চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ সম্মান বলে বিবেচিত হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে এবং সমস্ত পুরস্কার রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ নিজে পুরস্কার প্রাপকদের হাতে তুলে দেবেন। শ্রেষ্ঠ অসমিয়া চলচ্চিত্রের পুরস্কার “ইস্যু”কে দেওয়া হয় এবং শ্রেষ্ঠ হিন্দি চলচ্চিত্রের পুরস্কার জেতে “নিউটন”। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন প্রয়াত শ্রীদেবী “মম” চলচ্চিত্রের জন্য।
Comments are closed.