
এবার পজিটিভ সদ্যোজাত শিশু, শুক্রবার জেলায় আক্রান্ত ১১১
এবার সদ্যোজাত শিশুর শরীরে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাস। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুদিন আগে জন্ম নেওয়া শিশুর পজিটিভ রিপোর্ট শুক্রবার বিকেলে পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তার মা গর্ভবতী অবস্থায় পজিটিভ হয়েছিলেন, শিশুটির জন্মের পর মা এবং সন্তানকে হাসপাতালেই বিশেষভাবে রাখার ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। সদ্যোজাতের সোয়াব স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেলে জানা যায় শিশুটি পজিটিভ। এর আগে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ মাসের শিশু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিল। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
শুক্রবার কাছাড় জেলায় মোট ১১১ জন পজিটিভ হয়েছেন। স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের চার ব্যক্তি পজিটিভ হয়েছেন, গোল দিঘি মলের সুরক্ষা কর্মীর শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এছাড়া আসাম রাইফেলসের জওয়ান, বাইরে থেকে ফেরা যাত্রী, অন্য রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি সহ অনেকেই এদিন পজেটিভ হয়েছেন। মোট পাঁচটি তালিকা প্রকাশ করে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ১১১ জনের নাম স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
গোলদিঘি শপিংমলের দুই সুরক্ষাকর্মী এদিন পজেটিভ হয়েছেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের চার ব্যক্তি পজিটিভ হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এর কোনও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের তরফে আগামীতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটা দেখার বিষয়।
আসাম রাইফেলসের রবি কুমার, সঞ্জয় রায়, আরবি গুড়ুং, এইচএস লামসাঙ, গৌতম খামোয়া, সরবন কুমার এদিন পজিটিভ হয়েছেন। কাতিরাইল এলাকার জয়া দেব, ঝুমা নাথ, সমর নাথ, তমোজিত মিত্র এবং শুভদীপ দেব পজিটিভ হয়েছেন।
হায়দ্রাবাদ থেকে ফেরা বিরবল বাজার এলাকার আনিস ফাতিমা, মোহাম্মদ মোস্তফা, জয়পুর এলাকার মিনারা বেগম সহ বেশকিছু বিমানযাত্রী পজিটিভ হয়েছেন।
শুক্রবার পজিটিভ হওয়া প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তির সোয়াব স্যাম্পল ২১ জুলাই সংগ্রহ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিম্পটোমেটিক রোগীদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সিভিল হাসপাতাল সহ অন্যান্য করোনা চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন পজিটিভ হওয়ার সংখ্যা প্রায় ১০০ বা তার কাছাকাছি। এত বেশি আক্রান্তকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে পাঠানো এবং যারা সুস্থ হচ্ছেন তাদের হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠানো নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এরমধ্যে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। জেলার এম্বুলেন্সের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, এদিকে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকেও আক্রান্ত ব্যক্তিদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ বা অন্যান্য হাসপাতালে পৌঁছে দিতে হচ্ছে। এতে বিরাট সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স’র সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারেও চিন্তাধারা চলছে।
Comments are closed.