পুরসভার পর এবারে কাগজ কল কর্মচারীর আত্মহত্যার চেষ্টা
সম্প্রতি রঞ্জন পদের আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে এক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। বিগত ছয় মাস ধরে বেতন না পাওয়া এবং অর্থ পরিশোধের ব্যর্থতা শিলচর পুরসভার পরিদর্শকের জীবন কেড়ে নিল। এখন হিন্দুস্তান কাগজ কলের কর্মচারী ইনামুদ্দিন আহমেদ এক বড় আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এক সুত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ইনামুদ্দিন টাওয়ারের উপর দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন নীচে ঝাঁপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। তার সহকর্মীরা বিষয়টি পুলিশকে জানায় এবং পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। পুলিশ এবং সহকর্মীদের বার বার অনুরোধের পরই ইনামুদ্দিন নীচে নেমে আসেন। আর্থিক সংকটের কারণে তিনি গুরুতর মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন বলে ইনামুদ্দিন জানান।
এ মাসের শুরুতে অ্যাডভান্টেজ আসামে দুদিন ব্যাপী সামিট শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি । কর্মচারীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন মানব শৃঙ্খল প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এবং বানিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর মানব শৃঙ্খল প্রদর্শন বাতিল করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, “ কাগজ কলের কর্মীরা অতি শীঘ্রই বকেয়া পাওনা পেয়ে যাবেন।” সেই সঙ্গে শিল্পমন্ত্রী প্রভু বলেন, “ আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাগজ কল চালু করার জন্য।”
এটা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক যে কর্মচারীদের এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে এ ব্যাপারে জড়িত হয়ে কাগজ কল পুনরায় খোলার আদেশ অনুমোদন করতে বলা হয়। আশা করা যায়, এবারের আশ্বাস ফলপ্রসূ হবে এবং এটি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নয়।
Comments are closed.