পুরকর্মচারীর আত্মহত্যা: কংগ্রেসের প্রতিবাদী মিছিলে উত্তাল শিলচর শহর
শিলচর পুরসভার কর্মচারী রঞ্জনপদ দেবের আত্মহত্যা তথা সারা রাজ্যে পুর কর্মচারীদের প্রতি রাজ্য সরকারের বৈষম্যের প্রতিবাদে সোমবার শিলচরে এক বিরাট প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করে কাছাড় জেলা কংগ্রেস। পুরকর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১৫ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের এক সদস্যের পুরসভায় চাকরির পাশাপাশি চেয়ারম্যান নিহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুরের পদত্যাগের দাবি তোলেন কংগ্রেস সদস্যরা।
এদিন সকাল ১১টায় কংগ্রেস ভবন থেকে শুরু হয় মিছিলটি এবং এতে দলের বিভিন্ন নেতা সহ প্রায় তিনশো কর্মী যোগ দেন। শহরের বিভিন্ন রাস্তা হয়ে শিলচর পুরসভার কার্যালয়ে পৌছায় মিছিলটি। কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাখানেক ধর্না প্রদর্শন করেন তারা।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ কুমার দে এদিন বলেন, পুরকর্মচারী রঞ্জনপদ দেবের মৃত্যুর দায় শিলচর পুরসভা এবং রাজ্যে সরকারকে নিতে হবে। তাঁকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। বছরের পর বছর বেতন না দিয়ে তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন রাজ্যে সরকার। রঞ্জন বাবুর মতো সাধারণ মানুষ এই বঞ্চনার শিকার হয়ে এভাবেই প্রান হারাবেন আর অন্যদিকে শিল্পপতিদের হাজার হাজার কোটির ছাড় দেবে বিজেপি সরকার, এসব মেনে নেওয়া যায়না। পরিবারটিকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরন দেওয়া উচিৎ এবং এই সাথে পুরপতির পদত্যাগ করা উচিত এবং আমরা দাবিটি নিয়ে আগামীতেও আন্দোলন করে যাব।
প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিং বলেন পুরসভা বা কাছাড় কাগজ কলের মতো ব্যপারে সরকারের বৈষম্যের মনোভাবই রঞ্জনপদ বাবুর মতো নিরীহ মানুষকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে। আগামীতে কাগজকল কর্মীরাও আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন।
তিনি বলেন, বিজেপি সরকার স্বচ্ছ ভারতের প্রচারের নামে জনগণের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করছে আর যারা শহর পরিস্কার রাখবেন তাদের বেতন না দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছে। বিজেপি সরকারকে এর মাশুল দিতে হবে।
এদিন আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি গুলো নিয়ে শিলচর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কাছাড়ের জেলা শাসকের কাছে স্মারকপত্র দেন। তার একটি প্রতিলিপি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
পরে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি দল প্রয়াত রঞ্জনপদ দেবের বাড়িতে গিয়ে দলের তরফে ১৫ হাজার টাকার একটি অনুদান দেন।
Comments are closed.