Also read in

আপনাদের হাত ধরেই আমদের যাত্রা শুরু

আমরা এখন ২০১৮ এ দাঁড়িয়ে আছি। আজকের দিনে সব বয়সের মানুষ ইন্টারনেট সম্পর্কে অবগত, ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। ২০১৩ সালে ১৩ বছরের একটি কিশোর ফেইসবুকে একটি পেইজ এর জন্ম দেয়। এটা ছিল তার কাছে অন্য আরো অনেক কিছুর মতই নিছক একটি পরীক্ষা। তবে, পেইজের এ্যাডমিন ব্যাপারটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নানাধরনের ফটো, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, খবর আরো কত কি ফেইসবুকে পরিবেশন করতে থাকেন আর তারই ফাঁকে সময়ের ধারায় ধীরে ধীরে পঁচিশ হাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠে ফেইসবুকের এই পাতা। হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি ফেইসবুকের “মাই শিলচর” পাতাটি নিয়ে। সময়ের গতিতে অভিজ্ঞ হয়ে উঠার ফাঁকে অজস্র মানুষের ভালবাসা কুড়োতে সমর্থ হয়েছে “মাই শিলচর”।

যখন শিলচরের বাংলা দৈনিকগুলো খবরের ডালি সাজিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে তখনও “মাই শিলচর” এর “পোষ্ট” পড়ছেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ! এই বিষয়টা আমাদের আনন্দিত করার সঙ্গে সঙ্গে এর অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজতে অনুপ্রাণিত করল। বুঝতে অসুবিধে হল না রহস্যটা কোথায়? দৈনিকগুলোর পুরো বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নেওয়ার প্রয়াসে নিজের ঘরটাই কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। আর “মাই শিলচর” এর মাধ্যমে সেই ঘরের সন্ধানটাই খোঁজে পাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। কারণ এখানে প্রাধান্য পাচ্ছে বরাকউপত্যকা। “মাই শিলচর” এর প্রতি আপনাদের ভালবাসাই আমাদেরকে উজ্জ্বীবিত করেছে নতুন ভাবে নতুন কিছু ভাবার। এই ভাবনার হাত ধরেই আমাদের মনে হয়েছে, আমরাও গড়তে পারি আমাদের নিজস্ব পৃথিবী, যেখানে স্ব-ভূমির কথা, আমাদের বরাকউপত্যকার কথা প্রাধান্য পাবে, নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদানের পরিসর বাড়বে। যার মাধ্যমে আমাদের স্ব-ভূমির কথা পৌঁছে দিতে পারি বৃহত্তর দুনিয়ায়। আর এই ভাবনারই ফসল আমাদের নতুন ওয়েবসাইট বরাকবুলেটিন ডট কম।

আমাদের এই সাইটে একদিকে যেমন থাকবে বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সাক্ষাৎকার, গণ্য মান্য ব্যাক্তিদের লেখা প্রবন্ধ, গুরুত্বপূর্ণ খবর, বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা, তেমনি থাকবে আপনাদের মতামত প্রকাশের জায়গা। আপনাদের মতামত আমাদের চলার পথকে প্রসারিত করবে। আমরা যেমন বরাক উপত্যকার মানুষের সাফল্য, এই উপত্যকার মানুষের গল্প গাঁথা বাইরের জগতে নিয়ে যাব, তেমনি বাইরে থাকলেও যারা উপত্যকার মান বাড়িয়েছেন, যারা আমাদের গর্ব তাদের কথাও আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব।

‘বরাকবুলেটিন’ এর দর্পণে বরাকবাসী নিজেদের গল্প নিজেদের ভাষায় নিজেদের মত করে দেখতে পারবেন।

নির্ভীক,পক্ষপাতিত্বহীন থাকার অঙ্গীকারের পাশাপাশি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আপনাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য। প্রতিটি পদক্ষেপেই বরাকবাসীর সহযোগিতা আমাদের কাম্য। চলুন আমরা, আপনি সবাই মিলে বরাকবুলেটিন এর মাধ্যমে এই উপত্যকার মহিমা পৌঁছে দেই পুরো পৃথিবীতে। এর সৌরভ ছড়িয়ে দেই চতুর্দিকে। আপনাদের সঙ্গে নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু।

Comments are closed.