দাবি ন্যায্য তবে নাগরিক জীবন দুর্বিসহ
অন্যান্য দাবিসহ ২২ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পুর কর্মীদের রাজ্যব্যাপী আন্দোলন দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছল, এবার চলবে ২২শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। পুরকর্মীদেরও দোষ দেওয়া যায় না, এতদিন ধরে বেতন দিচ্ছে না সরকার (শিলচরে যদি ও বকেয়া ছয়মাসের), ধৈর্যচ্যুতি ঘটা স্বাভাবিক। অনেক দিন আগেই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল পুর কর্মীদের রাজ্য সরকারি কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার, কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। আন্দোলনকারী সংস্থার তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে আগামীতে তারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন।
এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে আবর্জনা সাফাইয়ে। আবর্জনার পাহাড় জমছে রাস্তায় রাস্তায়, মোড়ে মোড়ে। নাকে রুমালচাপা দিয়েও রাস্তা চলা দায় হয়ে উঠেছে। সারা আসামের সাথে বরাক উপত্যকার তিন প্রধান শহর শিলচর, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ এর পথচারিদেরও নাভিশ্বাস উঠেছে। এমনিতেই এন.জি.ও গুলো্র লোকেরা ঠেলা নিয়ে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করে প্রধান রাস্তার উপর যেমন ওভারব্রিজ এর মুখ কিংবা সিভিল হাঁসপাতালের সামনের ডাস্টবিন এর কাছে ফেলে যায়। কিন্তু হরতালের ফলে এই আবর্জনা সেখানেই পড়ে আছে, পুরসভার গাড়ী এসে নিয়ে যাচ্ছে না। একই অবস্থা করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি প্রভৃতি স্থানের।
এরকম চলতে থাকলে অচিরেই পথচলতি লোক এবং আশেপাশের জনগণ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বেন। পুরসভার কর্তা ব্যক্তি ও সরকারের এই ব্যাপারে অবিলম্বে আন্দোলনরত সংস্থার সাথে সদর্থক আলোচনাক্রমে মীমাংসায় উপনীত হওয়া উচিত।
Comments are closed.