আরো এক বছর জমা জল নিয়ে ভুগতে হবে শহরবাসীকে, তবে স্থায়ী সমাধান হবে: দিলীপ পাল
শিলচরের জমা জল সমস্যাটির সমাধান একটি জটিল প্রক্রিয়া, তবে এনিয়ে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। শহরের মানুষকে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। আগামী বছর থেকে বর্ষার সময় জমা জল নিয়ে শহরের মানুষকে ভুগতে হবেনা, এমনই জানালেন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ দিলীপকুমার পাল।
রবিবার গান্ধীভবনে নাগরিক স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আয়োজিত ‘পরিচ্ছন্ন শিলচর, সুন্দর শিলচর’ শীর্ষক এক আলোচনায় অংশ নিতে গিয়ে কথাগুলো বলেন তিনি।
জম| জলের সমস্যা মেটাতে মাস্টার ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ এখনো বাস্তবায়িত হয়নি তবে রাজ্য সরকার কিছু জাতীয় স্তরের সংস্থার সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করছেন। আমি মিথ্যা আশা দেব না কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। আমি বুঝতে পারি যে পরিস্থিতি এই বছর আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আগামী বছরের মধ্যে আমরা একটি সমাধান খুঁজে পাব।
এদিন সভায় শিলচর পুরসভার চেয়ারম্যান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর সহনাগরিক স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।
ডঃ তাপস শঙ্কর দত্ত বলেন, একটি পরিষ্কার পরিবেশ আমাদের মৌলিক অধিকার এবং যেকোনও মূল্যে তা আমাদের পূরণ করতে হবে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হরিদাস দত্ত বলেছেন, মেঘালয়ের মতো মাওলানাংয়ের মতো একটি ছোট্ট গ্রাম সারা পৃথিবীর হাজার হাজার পর্যটককে আকর্ষণ করতে পারে, কেন শিলচরের মতো শহর কাজটি করতে পারে না?
এদিন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে কলকাতার রোহিণী ফায়ার সেফটি প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে আসা দেব মুখোপাধ্যায় পৌর এলাকার বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট উত্পাদন প্রযুক্তি নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই মাটির প্রতি করা আমাদের অন্যায় বন্ধ করতে হবে। আমাদের প্রকল্পটি আক্ষরিক অর্থে আবর্জনাকে সারে রূপান্তরিত করতে সমর্থ যা সমাজে আর্থিক ও সামাজিকভাবে উপকারেও আসবে।
Comments are closed.