Also read in

গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নাইটিঙ্গেল হাসপাতালে ভাঙচুর; পুলিশ উদ্ধার করল ডাঃ অরুণ পাল চৌধুরীকে

পাবলিক স্কুল রোডের শ্যামানন্দ আশ্রম লেনের বাসিন্দা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমিতা পাল আজ শিলচরের নাইটেঙ্গেল হাসপাতালে মারা যান। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ডাঃ অরুণ পাল চৌধুরীর ভুল ওষুধ প্রয়োগ এবং অবহেলায় ৩৪ বছর বয়সী ঐ মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

রোগীর মৃত্যুর পরপরই রোগীর আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসক দলের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

“আমাদের বলা হয়েছিল যে, আজ সকালে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হবে কারণ মা এবং শিশু উভয়ই ঠিক আছে। তবে, সকালে একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আমাদের বলেছিলেন যে, তারা শুধুমাত্র একটি স্যালাইন দেওয়ার পরে রোগীকে ছেড়ে দেবেন। তারা বলেন, ডক্টর অরুণ পাল চৌধুরী এই নির্দেশ দিয়েছেন এবং শিশুর নাড়াচড়ার জন্য এই স্যালাইন গুরুত্বপূর্ণ। তবে রোগী বলেন যে তিনি ভালো আছেন এবং ডাক্তারকে অনুরোধ করেন যেন স্যালাইন না লাগানো হয় কারণ স্যালাইন নিতে তার কষ্ট হয়। কিন্তু মেডিকেল টিম তার কথায় কর্ণপাত না করে স্যালাইন লাগিয়ে দেয়। এবং দশ মিনিটের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়,” বললেন সুমিতা পালের আত্মীয়।

গর্ভকালীন কিছু জটিলতার পরে তাকে মেহেরপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তবে গতকাল রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফিট ঘোষণা করা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা সঠিক রোগ নির্ণয় নিয়ে ও চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। মহিলার দেবর জিজ্ঞাসা করেন, “যে ব্যক্তিকে ডিসচার্জ করার উপযুক্ত বলে মনে করা হয়, তিনি ড্রিপ দেওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে মারা যান কি করে!”

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও প্রতিবেশীরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ডাক্তার অরুণ পাল চৌধুরী ও অন্যান্য মেডিকেল অফিসাররা লাঞ্ছিত হয়েছেন।

অতিরিক্ত এসপি, শিলচর সদর ওসি এবং কাছাড় পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এমনকি ক্ষুব্দ আত্মীয়-স্বজন রাঙ্গিরখাড়ি-মেডিক্যাল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশী কার্যকলাপে রাস্তায় যানবাহন চলাচল আবার শুরু হয়।

পরিবারের সদস্যদের সঠিকভাবে তদন্ত আশ্বাস দেওয়ার পর কর্মকর্তারা ডাঃ অরুণ পাল চৌধুরীকে উদ্ধার করেন।

Comments are closed.