
সুপার ডিভিশনে নতুন ইতিহাস লিখল ইন্ডিয়া ক্লাব। যে দলটা একসময় অবনমন এর দোরগোড়ায় ছিল তারাই কিনা মেগা ফাইনালে পৌঁছে গেল। তাও আবার অপরাজিত থাকা টাউন ক্লাব কে টপকে দিয়ে। কেন ক্রিকেটকে অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয়ে থাকে সেটা মঙ্গলবার ফের প্রমাণ করলো ইন্ডিয়া ক্লাব। এদিন সুপার ডিভিশনের প্রথম সেমিফাইনালে তারা ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় লিগ পর্বে অপরাজিত থাকা টাউন ক্লাব কে। এই জয়ের সুবাদে আগামী ১৬ জানুয়ারির মেগা ফাইনালে স্থান করে নিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটি। খেতাবি লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে ত্রিবেণী ক্লাব অথবা ইটখোলা এসির।
লিগে টানা ৫ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল টাউন ক্লাব। লিগের সাক্ষাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিয়া ক্লাবকে সহজেই হারিয়েছিল তারা। ফর্ম ও শক্তির বিচারে ইন্ডিয়া ক্লাব থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল তারা। তারপরও সেমিফাইনালে মুখ থুবড়ে পড়ল টাউন ক্লাব।
সকালে টসে জিতে টাউন ক্লাব কে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইন্ডিয়া ক্লাবের অধিনায়ক রেহান জমিল মজুমদার। লিগের ম্যাচ গুলিতে নতুন বলে তেমন ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইন্ডিয়া ক্লাবের পেসার নীহার পাল। তবে বড় ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেন তিনি। শুরুতেই ফিরিয়ে দিলেন টাউন ক্লাবের দুই ওপেনার অভিতাভ পাল ও মজিবুর আলী কে। দুজনে খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। টুর্ণামেন্টে খুব ভালো ফর্মে ছিলেন টাউন ক্লাবের দুই ওপেনার। বিশেষ করে বাঁহাতি তারকা মুজিবুর তো ধারাবাহিক পারফর্ম করেছিলেন। তবে শুরুতেই তাকে ফিরিয়ে দিয়ে জোর ধাক্কা দেন নীহার। এই ধাক্কাটা সামলে উঠবার আগেই সম্ভবত সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খায় টাউন ক্লাব। স্বপ্নের ফর্মে থাকা রাম চন্দ্র দাস কে (১) ফিরিয়ে দেন যোগেশ্বর ভূমিজ। টুর্ণামেন্টে এই প্রথম ইন্ডিয়া ক্লাবের নতুন বলের জুটি এত ভাল পারফর্ম করলেন। এরপর অমিত বৈশ্য কে (২) ফিরিয়ে দিয়ে টাউন ক্লাব কে আরও কোণঠাসা অবস্থায় ঠেলে দেন নীহার।
মিডল অর্ডারে ইয়াসির আলী (২৫) ও তরুণ অভিষেক দেব (১৫) দলকে লড়াইয়ের ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে দুজনেই টানা দু বলে বাজে শট খেলে সাজঘরে ফিরে যান। উভয়কেই ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার শেখর জ্যোতি বর্মন। এটা টাউন ক্লাবের বড় রানের আশাও শেষ করে দেয়। লোয়ার অর্ডারে বিকি রায় ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তবে ২৯.৩ ওভারে ৮৭ রানেই ফুরিয়ে যায় টাউন ক্লাবের ইনিংস।
জবাবে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তুলে নেয় ইন্ডিয়া ক্লাব। দলের পক্ষে সর্বাধিক ২৫ রান করেন নীরজ শর্মা। এছাড়া পারভেজ মোশাররফ ১৮, প্রদীপ সরকার ১৪ ও প্রশান্ত কুমার ১৫ রান করেন। দুটি করে উইকেট নেন ইয়াসির আলী ও শম্ভু রায়। দুরন্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন নিহার পাল। তার হাতে ট্রফি তুলে দেন মন্টু শুক্লবৈদ্য।
Comments are closed.