Also read in

করোনা আক্রান্ত কোন ব্যক্তি অটোয় ঘোরাফেরা করেন নি, অযথা আতঙ্কিত হবেন না: জেলা প্রশাসন

কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শিলচর শহর বা কাছাড় জেলার অটোরিকশায় ঘোরাফেরা করেননি। শিলচরের এক দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক কিছুটা ভুল বোঝায় এরকম প্রতিবেদন লিখেছেন। তার সঙ্গে প্রশাসনের কথা হয়েছে এবং তিনি আসল তথ্য আগামীতে তার প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন। তাই শিলচরে অটোতে করে আক্রান্ত ঘুরেছেন বলে অকারণে আতংকিত হওয়ার কোন কারণ আপাতত নেই, এমনটাই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন চৌধুরী বুধবার রাতে তথ্যটি বরাক বুলেটিন এর কাছে তুলে ধরেছেন।

তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যারাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রত্যেকে উত্তর-পূর্বের বাইরের রাজ্য থেকে যাত্রা করে ফিরেছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের জেলায় ঢোকার আগেই সরকারি তত্ত্বাবধানে নিয়ে নেওয়া হয়। গুয়াহাটি থেকে সরকারি বাসে তাদের শিলচর আনা হয়। রামনগরের আইএসবিটিতে আগে সোয়াব স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়, এরপর তাদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। সোয়াব স্যাম্পল শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সেখানে যদি কারও পজিটিভ ধরা পড়ে, তাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতলে কোভিড জোনে স্থানান্তর করা হয়। এই প্রক্রিয়া স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে হয় ফলে কোনও ছোটখাটো ভুলেরও সম্ভাবনা থাকে না।

সুমন চৌধুরী বলেন, ‘যে ব্যক্তির কথা স্থানীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গুয়াহাটি থেকে একটি গাড়িতে করে রামনগরের আইএসবিটিতে আসেন। সরকারি বুলেটিন তুলে ধরার সময় গাড়ির নম্বরটি দিতে খানিক বিভ্রান্তি হয়েছিল সরকারি আধিকারিকের। সংবাদ-এর প্রতিবেদক সেই নম্বরটি কার নামে রেজিস্টার করা আছে এটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, একটি অটো রিক্সার নামে নাম্বারটি রেজিস্ট্রেশন করা। ফলে তিনি হয়তো ভেবেছেন লোকটি অটোয় করে এসেছে। তবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি গুয়াহাটি থেকে কিছুতেই অটো করে শিলচর আসতে পারবেনা। এখানেই বোঝাপড়ার কিছুটা অভাব হয়েছে। আমরা পরে শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি এবং দুইপক্ষ নিজেদের তথ্যগুলো পরিষ্কারভাবে যাচাই করেছি। এবার তিনি তার প্রতিবেদনে আসল তথ্য তুলে ধরবেন বলে কথা দিয়েছেন। আমরা জেলার প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে অনুরোধ করছি আপনারা অকারণে আতঙ্কিত হবেন না।’

তারা আরও জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বের বাইরের রাজ্য এবং ত্রিপুরা থেকে এখন পর্যন্ত ১০৪৬ জন যাত্রী কাছাড় জেলায় ফিরেছেন। প্রত্যেকের সোয়াব স্যাম্পল সংগ্রহ করে তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কিছু যাত্রীর কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেছে, তারা শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাস এবং ট্রেনে যাত্রীরা ফিরছেন ফলে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন যাত্রী আসছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি কোয়ারেন্টাইন রয়েছে এবং আগামীতে এলাকাভিত্তিক কোয়ারেন্টাইনের পরিকল্পনা রয়েছে। কাছাড়ের সাতটি বিধানসভা সমষ্টি তে আলাদা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন এলাকায় কোয়ারেন্টাইন গড়ে তোলা উচিত এ বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

Comments are closed.