Also read in

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে, বাঙালি সংগঠনের সমাবেশের অনুমতি মিলছে না

আগামী ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক নিয়ে রাজ্যজুড়ে তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থনে বাঙালি সংগঠনগুলির ডাকা সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন এডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ পল্লব ভট্টাচার্য। তিনি আরো জানান যে, এই সংগঠনগুলি খানাপাড়ার ভেটেরেনারি মাঠে সমাবেশ করার জন্য জন্য কোন আবেদনও করেনি।

এদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৬’র বিরুদ্ধে ৪৬টি সংগঠনের ডাকা প্রতিবাদী কর্মসূচিকে পূর্ন সমর্থন জানালো কংগ্রেস দল। আজ গুয়াহাটির রাজিব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা ।

এদিকে, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন যে, যৌথ সংসদীয় কমিটির তরফ থেকে ১২৪ টা সংগঠনকে সামনে রেখে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল আসামে আবার এসে সকলের বক্তব্য পুনরায় গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি, আগামী ২৩ অক্টোবর যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক বসছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জেপিসি’র এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাতে কেউ প্রতিবাদ করার সুযোগ এবং সময় না পায়। শীতকালীন অধিবেশনেই নাগরিকত্ব বিল পাস করার জন্য বিজেপি দল তোড়জোড় চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদে ৪৬টি দল এবং জনগোষ্ঠী মিলে আগামী ২৩ অক্টোবর সকাল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত আসাম বনধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এই নিয়ে অগপ দলেও ব্যাপক তৎপরতা দেখা দিয়েছে। অতুল বরার নেতৃত্বে এক অগপ প্রতিনিধি দল জেপিসি’র চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র আগারওয়ালের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য মিরাট রওয়ানা হয়েছে। বিলের বিরুদ্ধে তারা তাদের মতামত চেয়ারম্যানকে জানাবেন। এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মোহন্ত জানিয়েছেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করার প্রয়াস হলে অগপ দল জোট থেকে বেরিয়ে আসবে। ১৭নভেম্বরের বাঙালি সংগঠনগুলির ডাকা জনসমাবেশেরও বিরোধিতা করেন তিনি।

এই ব্যাপারে বাঙালি সংগঠনগুলির প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।

Comments are closed.