
সিল করে দেওয়া দোকান খুলতে কোনও রাজনৈতিক চাপ আসেনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে: প্রশাসন
দোকান খোলা থাকা অবস্থায় গ্রাহকদের সঙ্গে আদান প্রদানের সময় কর্মচারিরা মাস্ক না পরায় ১১ এবং ১২ মে শহরের ২৮টি দোকান সাময়িকভাবে সিল করে দিয়েছিল প্রশাসন। তৃতীয় লকডাউন শেষ হওয়া পর্যন্ত তাদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে দোকানগুলো আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে। তবে এ দোকানগুলো খোলার জন্য কোন ধরনের রাজনৈতিক স্তরের চাপ আসেনি। একটি গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যার কোন সত্যতা নেই, এমনটাই বললেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান। শনিবার শিলচরে সরকারি বুলেটিনে অংশ নিতে গিয়ে কথাগুলো বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই দুঃসময়ে ওষুধ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করা একটি জরুরি পরিষেবা। তবে দোকানগুলোর কর্মচারিদের অসাবধানতার ফলে যাতে কোনওভাবেই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটতে না পারে এজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এখন প্রত্যেক ব্যক্তির স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বা মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। করোনা ভাইরাসের আক্রমণের নমুনা এখন আগে থেকে অনেকটাই বদলে গেছে। কোন ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও বাহ্যিক লক্ষণ ধরা পড়ছে না। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তিও বুঝতে পারছে না তার শরীরে ভাইরাস ঢুকে পড়েছে। ফলে এখন ছোট্ট থেকে ছোট্ট ভুল আমাদের অনেক বড় বিপদে ফেলে দিতে সক্ষম। এই কথা আমরা বারবার জেলার প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত না নিলে হয়তো কথাগুলো সাধারণ মানুষের কানে পৌঁছাচ্ছে না। ফলে দোকানগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছিলাম, তৃতীয় লকডাউন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। যতগুলো দোকান বন্ধ করা হয়েছে সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম। কোন বিশেষ দোকানের ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দেইনি এবং এ ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক নেতা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেননি।
দোকান গুলোর সঙ্গে শুধু মালিক নন কর্মচারিদের রোজগারের যোগসূত্র রয়েছে। অনেকের পরিবার এই চাকরির উপর হয়তো নির্ভর করছে। দোকান মালিকদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তাদের প্রতি কোনো শত্রু মনোভাব নেই প্রশাসনের। আমরা পারতাম তাদের কিছু ফাইন বসিয়ে দিতে। এতে লাভ হতো না, কারণ তারা হয়তো গ্রাহকের কাছ থেকে টাকাটা তুলে নিতেন। সোমবার থেকে চতুর্থ লকডাউন শুরু হচ্ছে, তবে আমাদের মনোভাব একই থাকবে।
Comments are closed.